
গাজায় খাদ্য সরবরাহ ‘সমুদ্রে এক ফোঁটা জলের মতো’ রয়ে গেছে। জাতিসংঘ-সমর্থিত এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে গাজার ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকটের এমন মর্মান্তিক চিত্র। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরবরাহকৃত ত্রাণ প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম।
গাজায় কর্মরত আন্তর্জাতিক চিকিৎসাকর্মীদের মতে, গাজার হাসপাতালগুলোর পরিস্থিতি ভয়াবহ। তারা বলেছেন, চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের একটি বড় অংশের শরীরে অপুষ্টির স্পষ্ট লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।
অনেক ক্ষেত্রেই, যখন রোগীদের জিজ্ঞাসা করা হয় তারা দিনে কতবার খেয়েছেন বা খাবারের সহজপ্রাপ্যতা কেমন, তখন জানা যায়—তাদের অনেকেই একটানা কয়েক দিন কোনো খাবার না খেয়েই কাটিয়েছেন।
এই চরম দুর্দশা দেখা গেছে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত মানবিক সংস্থার (জিএইচএফ) তত্ত্বাবধানে পরিচালিত খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রগুলোর আশপাশে। সেখানে প্রতিনিয়ত সহায়তার আশায় ভিড় জমাচ্ছে ক্ষুধার্ত মানুষ। স্থানীয় বাজারগুলো ফাঁকা, জাতিসংঘের গুদামগুলো খালি, আর মৌলিক পণ্যের মজুত বহু আগেই শেষ হয়ে গেছে।
অন্যদিকে, হাজার হাজার ত্রাণবাহী ট্রাক গাজার সীমান্তের অন্য পাশে দাঁড়িয়ে আছে শুধুমাত্র ইসরায়েলের ছাড়পত্রের অপেক্ষায়। কিন্তু ত্রাণ প্রবেশে দীর্ঘসূত্রতা ও প্রশাসনিক জটিলতা এখনো বিদ্যমান, আর যতটুকু ত্রাণ ঢুকেছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল—সমুদ্রে এক ফোঁটা জলের মতো।
সূত্র: আল জাজিরা।