
ভুক্তভোগীদের বরাতে জানা গেছে, সম্প্রতি সাদুল্যাপুর উপজেলার দুইজন প্রার্থী উপজেলা ও জেলা আমির বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। পরে দলীয় নেতাদের মধ্যস্থতায় একাধিক প্রার্থীর টাকা ফেরত দেন সিরাজুল ইসলাম। বুধবার (৬ আগস্ট) দিবাগত রাতে সাদুল্লাপুর জামায়াত কার্যালয়ে উভয় পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়।
ভুক্তভোগী মাসুদ রানা, দমোদরপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি। তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন, শিক্ষক নিবন্ধনে পাস করানোর কথা বলে সিরাজুল তার কাছে ১ লাখ টাকা দাবি করেন। পরে ৫০ হাজার টাকা দেন তিনি। পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলে টাকা ফেরত চাইলে নানা অজুহাত দেন সিরাজুল। একইভাবে আরেক ভুক্তভোগী আব্দুল হাদীর কাছ থেকেও ৭৫ হাজার টাকার চুক্তিতে ১৫ হাজার টাকা নেন তিনি। দলীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে পরে টাকা ফেরত পান হাদী।
অন্যদিকে, জামালপুর ইউনিয়নের পাতিল্যাকুড়া গ্রামের বাসিন্দা মফিজল হক অভিযোগ করেন, গত ৮ জুলাই সন্ধ্যায় সিরাজুল ২০-২৫ জনকে নিয়ে তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ছেলে তাজুল ইসলামকে অপহরণের চেষ্টা করেন। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় অপহরণ প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।
এ ছাড়া সম্প্রতি এক চাকরিপ্রত্যাশীর কাছ থেকে প্রায় ১৭ লাখ টাকা নেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভিডিওতে বৈঠকের সময় টাকা লেনদেন ও চেক নেওয়ার কথা স্বীকার করতে শোনা যায় তাকে। অভিযোগকারী জানান, কয়েক দফায় ১৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা দেওয়ার পরও সিরাজুল আরও ২ লাখ টাকা দাবি করেন।
গাইবান্ধা জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মো. রোকনুজ্জামান রোকন বলেন, এটি দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। অভিযোগের পর তা দলীয়ভাবে মীমাংসা করা হয়েছে। আমরা তদন্ত করে জেনেছি সিরাজুল কোনো টাকা নেননি, তিনি শুধু মধ্যস্থতা করেছেন।
অভিযোগের বিষয়ে সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমি অভিযোগকারীদের কান্তনগরের জহুরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছি, টাকা নিইনি। সরকারি চাকরির ঘটনাও আমার সেক্রেটারি হওয়ার আগের। আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করার জন্য ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। সূত্র: ঢাকা পোস্ট