
বগুড়া শহরে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর সামনে নেই কোনো পার্কিং ব্যবস্থা। দু-একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পার্কিং গ্যারেজ থাকলেও তা কোনো কাজেই আসছে না। ফলে সড়কে জনভোগান্তির চিত্র নিয়মিতফলে প্রতিনিয়ত যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে, ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন রোগী, স্বজন, পথচারী ও সাধারণ মানুষ।
অভিযোগ রয়েছে, যথাযথ ব্যবস্থা না থাকায় রোগী-স্বজন, পথচারী, যানচালক ও শহরবাসীর মারাত্মক অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে পার্কিং সমস্যা। ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অবকাঠামো নির্মাণে পরিকল্পিত উদ্যোগের যথেষ্ট অভাব রয়েছে। সেই ভুল বা অপরাধের মাশুল দিচ্ছেন সেবাপ্রত্যাশীসহ পথচারীরা।
বিশেষ করে শহরের শেরপুর সড়কের লতিফপুর কলোনি থেকে সূত্রাপুরের মফিজপাগলার মোড় পর্যন্ত দুই কিলোমিটার জুড়ে গড়ে উঠেছে অন্তত ২০টি ক্লিনিক। এর মধ্যে ঠনঠনিয়া এলাকার পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ডক্টরস ক্লিনিকের সামনে যানজট যেন নিত্যদিনের ঘটনা।
গত রোববার (২৯ জুন) দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে সড়কের অর্ধেক জুড়ে চিকিৎসকের দুটি প্রাইভেটকার পার্কিং করা রয়েছে। গার্ডরা গাড়ি পাহারা দিচ্ছেন, আর সড়কে দীর্ঘ হচ্ছে যানজটের সারি।
অটোচালক লিটন হোসেন জানান, প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এই এলাকায় তীব্র যানজট লেগেই থাকে। এমন চিত্র ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনেও।
শহরের একাধিক বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন, অধিকাংশ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে কোনো পার্কিংয়ের ব্যবস্থা নেই। সড়কে গাড়ি রেখে রোগী দেখতে আসা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি নিরাপত্তাহীনতাও তীব্র।
স্থানীয়রা জানান, যানজট নিরসনে পার্কিং গ্যারেজ নির্মাণ ও পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাধ্য করতে হবে। যেসব প্রতিষ্ঠানের আশপাশে পার্কিংয়ের পর্যাপ্ত জায়গা নেই, সেগুলোর স্থানান্তরও জরুরি।
এ বিষয়ে বগুড়া জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা জানান, ‘সড়কে গাড়ি রাখা অবৈধ। আমি ট্রাফিক পুলিশকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলছি। এরপরেও যদি সমস্যা থাকে, প্রয়োজনে আমরা সরাসরি অভিযানে নামব।’