
এসবি ডেস্ক : বিশ্বে বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণের সময় আর মাত্র কিছু দিন। আমাদের দেশে সূর্যগ্রহণ দেখা না গেলেও এর খারাপ প্রভাব পড়তে পারে আপনার ওপর। কারণ প্রকৃতির মহাজাগতিক এ সূর্যগ্রহণের সঙ্গে পৃথিবীর সব প্রাণী সম্পর্কযুক্ত। জীবনে নানা বিষয়ে কুপ্রভাব থেকে মুক্তি পেতে সূর্যগ্রহণের সময় কিছু বিষয় এড়িয়ে চলতে হবে, এমনই বলছে জ্যোতিষশাস্ত্র।
জ্যোতিষশাস্ত্রে সূর্যগ্রহণকে খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। কারণ সূর্য জ্যোতিষশাস্ত্রের ১২ টি রাশির ওপরই প্রভাব বিস্তার করতে পারে।
জ্যোতিষীরা বলছেন, সূর্যগ্রহণ কারও জীবনে শুভ আবার কারও জীবনে অশুভ প্রভাব বয়ে নিয়ে আসতে পারে। তাই সূর্যগ্রহণের খারাপ প্রভাব থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে বিশেষ কিছু কাজ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।
জীবনের সব অশুভ প্রভাব থেকে মুক্তি পেতে সূর্যগ্রহণের সময় ভুলেও কিছু কাজ করা যাবে না। আসুন একে একে জেনে নিই সে কাজগুলো।
১। সূর্যগ্রহণের সময় প্রকৃতিতে গ্রহণের ক্ষতিকর রশ্মি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। তাই চেষ্টা করুন গ্রহণের সময় রাস্তা বা খোলা জায়গায় না থাকার।
২। সূর্যগ্রহণের সময় কখনই আকাশের দিকে তাকাবেন না। এতে চোখ নষ্ট হওয়ার শঙ্কা থাকে।
৩। গ্রহণের সময় ক্ষতিকর রশ্মি তৈরি হওয়ার পাশাপাশি বাতাসে ক্ষতিকর গ্যাসও তৈরি হয়। তাই এ সময় খাবার রান্না থেকে বিরত থাকুন। যতটা সম্ভব তৈরি খাবার ঢেকে রাখুন।
৪। গ্রহণ চলাকালীন ক্ষতিকর গ্যাস তৈরি হওয়ায় ভারী খাবার না খাওয়ার চেষ্টা করুন। নয়তো পেটের অসুখে ভুগতে পারেন।
৫। গর্ভবতী মায়েরা এ সময় বিশ্রাম নিতে পারেন। কিংবা ধর্মীয় কাজে মনোযোগী হতে পারেন।
৬। সূর্যগ্রহণের সময় পৃথিবীতে ক্ষতিকর রশ্মি ও গ্যাসের কারণে পরিবেশ দূষিত থাকে। যে কারণে এর ক্ষতিকর প্রভাব ত্বকে পড়তে পারে। তাই সম্ভব হলে গ্রহণ শেষে গোসল করে নিন।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ বিষয়ক সংস্থা নাসা বলছে, ক্ষতিকর রশ্মি বা গ্যাস থেকে বাঁচতে খালি চোখে সূর্যগ্রহণ দেখা থেকে বিরত থাকতে হবে। নাসার এ উপদেশ মানলে, এড়িয়ে চলতে পারেন অন্য সব সতর্কতাও। কেননা সতর্কতা বা সাবধানতা মেনে চলায় কোনো ক্ষতি নেই, বরং তাতে রয়েছে সুরক্ষার চাবি।