৭ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২২শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
৭ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২২শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১৪ই রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

শাজাহানপুরে দক্ষিন পারতেখুর বিদ্যালয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতি,পরিবেশ নেই পড়ালেখার।

spot_img

বগুড়া শাজাহানপুরের আশেকপুর ইউনিয়নের পারতেখুর উচ্চ বিদ্যালয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতি।স্কুলে নেই কোন উন্নতি।নেই পড়ালেখার পরিবেশ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে ,স্কুলের বেশিভাগ কক্ষের দেয়ালের প্লাস্টার খসে পড়ছে। অনেক স্থানে ফাটল ধরেছে। এতে করে শিক্ষক-শিক্ষার্থী শঙ্কায় দিন পার করছে।

দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বলেন,আমাদের রুমের জানালা ভাঙ্গা,জানালা ঠিক করে না।আমরা বেতন দেই,স্যারেরা খেয়ে শেষ করে।আমাদের রুমে লাইটের আলো নেই।ফ্যানের কেবাসিটার নষ্ট,ফ্যান আস্তে ঘোরে,বেঞ্চ নষ্ট,বেঞ্চের কারনে বোরকা এমন ভাবে সিড়ে যায় যা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়।কমনরুমে পোকা দেছে,কমনরুমে জংগল হয়েছে,এত নোংরা যে কমনরুমে কেউ যায়না,আমরা স্যারেদের বললে তারা কিছু বলেনা,তাহলে কি আমরা কমনরুমে যেতে পারবো না?কমনরুমে আয়না নেই,আয়না ভেঙ্গে গেছে।জানালা নেই জানালার পেছনে টিউবওয়েল, বাহিরের ছেলেরা পানি খেতে আসলে স্যারেরা বলে আমরা ছেলেদের সাথে কথা বলি।স্যারের বলে আমরা জানালা দিয়ে পালিয়ে যায়।আমরা কি পালিয়ে যাওয়ার জন্য স্কুলে আসি?আমাদের সাইন্স এর রুম নাই।আমরা অফিস রুমে ক্লাস করি।সাইন্স এর রুম আছে কিন্তু ওখানে খাবার রান্না করে।আমাদের খেলাধুলা হয়না।আমরা নাচের জন্য সাজে এসছিলাম,অনুষ্ঠান করলে মারামারি হবে এজন্য অনুষ্ঠান হয়না।

ওরাসুল মোস্তফা নামে সাবেক খন্ডকালীন শিক্ষক বলেন,যারা নীতি নির্ধারক আছে তারাই স্কুলের খোঁজ নেইনা।সভাপতি আলমগীর হোসেন স্বপন ও প্রধান শিক্ষক সন্তষ কুমার দেবনাথ স্কুলকে লোপাট করার চেষ্টা করছে।

স্কুলের লুটপাট সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন,এমপি স্কুলের উন্নয়নের জন্য ৮ টন চাল বরাদ্দ দিলেও তার টাকা কোন কাজ না করে নিজেদের পকেটে নিয়েছে।

এদিকে নিয়োগ বানিজ্যের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।

নিয়োগের বিষয়ে কমিটিরা কিছু জানেনা মর্মে উপ- পরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বোর্ড বরাবর দক্ষিণ পারতেপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে অবৈধ নিয়োগপ্রাপ্ত একজন তৃতীয় শ্রেণী ও একজন ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীর এম পিও না মঞ্জুর এবং প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির শান্তি প্রসঙ্গে দরখাস্ত দিয়েছে।যেখানে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি যোগসাজসে নিয়োগ প্রদান,নিয়োগ সংক্রান্ত রেজুলেশনে সদস্যগণের জাল স্বাক্ষর,কোন সদস্যকে না জানিয়ে গোপনে নিয়োগবোর্ড,কবে কোথায় নিয়োগ পরীক্ষা হয়েছে তা কোন সদস্যইকে অবগত না করে,দৈনিক হাজিরা বইতে নতুন নিয়োগ প্রাপ্তদের নাম ও হাজিরা স্বাক্ষর না করে নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ করেছেন অভিভাবক সদস্য আলমগীর হোসেন।

স্কুলের শিক্ষকদের থেকে নিয়োগ বানিজ্যের কথা জানতে চাইলে তারা বলেন এ বিষয়ে আমরা অবগত না।

স্কুলটিতে পড়া লেখার পরিবেশ ফিরেয়ে আনার জন্য আহবান করেছেন এলাকাবাসী।

সর্বাধিক জনপ্রিয়

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- বিজ্ঞাপন -spot_img

সর্বশেষ