
শেরপুরে ফিলিং স্টেশন ও সিএনজি পাম্পে মোবাইল কোর্ট
শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি:
বগুড়ার শেরপুরে ফিলিং স্টেশন ও সিএনজি পাম্পে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়েছে। শনিবার (১৬ মার্চ) সকালে উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের ফাহিম সিএনজি পাম্প ও রানিরহাট এলাকার ফারজানা ফিলিং স্টেশনে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় ওই দুই প্রতিষ্ঠান কে এক লক্ষ টাকা করে জরিমানা ও কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: সুমন জিহাদীর নেতৃত্বে বিপজ্জনক ও ঝুকিপূর্ণ লাইসেন্সবিহীন ফিলিং স্টেশন ও সিএনজি পাম্পে মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এস এম রেজাউল করিম, উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাস্টার নাদির হোসেন, শেরপুর থানার উপ পরিদর্শক হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ফাহিম সিএনজি পাম্প ও ফারজানা ফিলিং স্টেশনে বিপজ্জনক ও ঝুকিপূর্ণ ভাবে দীর্ঘদিন ধরে জ্বালানি সরবরাহ করা হচ্ছিল।
ফিলিং স্টেশনে লাইসেন্স বিহীন ভাবে ট্রাকের কেবিনে সিরিজ সিএনজি ট্যাংক স্থাপন করে অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণভাবে ব্যবসা পরিচালনা হচ্ছিলো। প্রস্তাবিত ম্যাপ ও টেকনিকাল রিকয়ারমেন্টের সাথে বাস্তবের কোন মিল ছিল না। ছিলনা কোন টেকনিশিয়ান। একইভাবে লাইসেন্সবিহীন ও ঝুকিপূর্ণভাবে পরিচালিত হয়ে আসছিল রানীরহাট এলাকায় ফারজানা ফিলিং স্টেশন।
অভিযান চলাকালে দেখা যায়, একই রুমে জেনারেটর, সিএনজি সিলিন্ডার, অফিসের বৈদ্যুতিক তারের হাব ও চেঞ্জ ওভার। এ সময় ফায়ার সেফটি মেজার সহ বিষ্ফোরক অধিদপ্তর বা এনার্জি রেগুলেটিং অথোরিটি বা পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন সহ পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন কাগজই স্টেশন কর্তৃপক্ষ উপস্থাপন করতে পারে নি।
শেরপুর উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুমন জিহাদী জানান, ফাহিম সিএনজি পাম্পকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং লাইসেন্স পাওয়ার আগ পর্যন্ত জনস্বার্থে কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে ফারজানা ফিলিং স্টেশনকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা ও এক মাসের সময় বেধে দেওয়া হয়েছে লাইসেন্স আবেদন করার জন্য।
অভিযান চলাকালে নির্বাহী অফিসার আরো বলেন, ‘বেইলি রোডের ঘটনা থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। এ ধরণের মর্মান্তিক ঘটনা আর যেন না ঘটে সে উদ্দেশ্যে সবাই মিলে এক সাথে কাজ করতে হবে।’ এ সময় গণমাধ্যম কর্মীদের তিনি ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, ‘সাংবাদিকদের কারণেই ঝুকিপূর্ণভাবে পরিচালিত এ সকল পাম্পের খবর আমরা পাই ও ব্যবস্থা নিতে পারি।’