আমার বুকের ধন একলা মরলো কেন? আমরা একসাথে কেন মরলাম না। মৃত্যুর আগে বার বার আমাকে দেখতে চেয়েছিল। কিন্তু দেখা হলো না। আমরা বুকের ধন এখন আর দেখা হবে না’, মাইলস্টোনে বিমান দুর্ঘটনায় একমাত্র সন্তানের মৃত্যুতে এমন বিলাপে বার বার মুর্ছা যাচ্ছিলেন তেজিপ্রু মারমা।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) ঘড়ির কাটা তখন সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা। লোকজনের ভিড় ঠেলে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স এসে পৌঁছেছে কেবল। গাড়ি থেকে নেমেই স্বজনদের জড়িয়ে ধরে এক মায়ের গগণবিদারী আহাজারি। হতবিহ্বল স্বজনেরাও সামিল হন সেই কান্নায়। ক্ষণে ক্ষণে সে বিলাপ অন্যদেরও অশ্রুফোটা হয়ে তপ্ত সড়কে ঝড়ে পড়ছে।
মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হওয়া ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী উক্যচিং মারমা এই এলাকার উসাই মং মারমা ও তেজিপ্রু মারমা শিক্ষক দম্পতির একমাত্র সন্তান।
ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা রোধে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ জনবহুল ঢাকা শহরের বাইরে সরিয়ে নেয়ার দাবি জানান নিহতের পরিবার ও স্বজনরা। দুর্ঘটনায় আহতদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা ও নিহতদের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে সরকারকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি নিহতের স্বজন ও স্থানীয় বাসিন্দাদের।