আর্জেন্টিনাকে স্তব্ধ করে সৌদি আরবের জয়
আর্জেন্টিনা কয় গোল করবে, এর মধ্যে লিওনেল মেসিরই বা কয়টি থাকবে—সৌদি আরবের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার ম্যাচের আগে আলোচনা ছিল এ রকমই। কিন্তু বাস্তবতা কি আর সব সময় কল্পনার সঙ্গে মেলে! এ ম্যাচেও মিলল না। বিশ্বের বেশির ভাগ ফুটবলপ্রেমী বা অনুসারী মেসির শেষের শুরুর এ ম্যাচের যে পাণ্ডুলিপি লিখে রেখেছিলেন, দৃশ্যায়নটা সেভাবে হলো কই! ফুটবল–দেবতা যে চিরকালই খেয়ালি! আবারও নিজস্ব খেয়ালে মেসির শেষের শুরুর গল্প লিখলেন হতাশার রঙে। বিশ্বকাপের অন্যতম অঘটনের জন্ম দিয়ে তাই আর্জেন্টিনাকে ২–১ গোলে হারিয়ে দিল সৌদি আরব।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সমতায় ফিরলো সৌদি আরব। দলের হয়ে সমতাসূচক গোলটি করেন আল শেহরি। ম্যাচের ৪৮ মিনিটে গোলটি করেন তিনি। প্রথমার্ধে আর্জেন্টিনার হয়ে গোল করেন লিওনেল মেসি। এরপর আরও তিনটি গোল করলেও সবগুলোই অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায়।
প্রথম গোল পাবার পরপরই আবারো গোল উৎসবে মাতলো সৌদি আরব। এবার দলের হয়ে গোল করেন আল দাওয়াসরি। এই গোলে ২-১ গোলে এগিয়ে গেল সৌদি আরব। ৫ মিনিটের মাঝে দুই গোল করে ম্যাচ জমিয়ে তুললো আরব দেশটি। প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে ছিলো আর্জেন্টিনা। পেনাল্টি থেকে গোল করেছিলেন লিওনেল মেসি।
তাহলে ওই যে ম্যাচের আগে ফুটবলপ্রেমীরা যে আর্জেন্টিনা ও মেসির গোলের হিসেব করল, সেগুলো সব কোথায় গেল! পিট সিগারের গানের কলির সঙ্গে মিলিয়েই বলতে পারেন—অফসাইডের বাঁশি সব কেড়ে নিল! হ্যাঁ, নাটকীয় প্রথমার্ধে সৌদি আরবের জালে তো ৪ বারই বল পাঠিয়েছিল আর্জেন্টিনা। এর মধ্যে ১০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে করা মেসির গোলটিই টিকে রইল, বাকি ৩টি আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়দের জন্য পাতা সৌদি আরবের অফসাইডের ফাঁদে আটকে গেছে।
অভিনন্দন টিম সৌদি আবর।