
মজিবর রহমান ,গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
গাইবান্ধা জেলা যুবদলের কর্যালয়ে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগের ঘটনায় সদর আসনের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্যসহ আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৫৮ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এতে ৯৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত নামা ১৫০ থেকে ১৬০ জনকে আসামী করা হয়েছে।
রবিবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা। এর আগে শনিবার রাতে বাদিয়াখালি ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক রফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে সদর থানায় এজাহার দায়ের করেন। পরে রাতেই মামলা দায়ের হয়।
মামলায় সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য শাহ সারোয়ার কবিরসহ সদর উপজেলা আ’লীগের সাধারন সস্পাদক মৃদুল মোস্তাফিজ ঝন্টু, শহর আওয়ামীলীগের সভাপতি ওমর ফারুক রুবেল ও সাধারন সম্পাদক কামাল হোসেন, জেলা যুবলীগের সভাপতি সাহিদ হাসান লোটন ও সাধারন সম্পাদক আহসান হাবিব রাজিবকে আসামী করে ৯৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত নামা ১৫০ থেকে ১৬০ জনকে আসামী করা হয়।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৭ জুলাই বিকাল ৪টার দিকে নামীয় ও অজ্ঞাতনামা আসামীরা হাতে লাঠি, সোঠা, লোহার রড, কুড়াল, শাবল, বড় বড় ধারালো ছুড়ি, বেকি, ককটেল, প্রেট্রোলসহ জঙ্গি মিছিল নিয়ে জেলা বিএনপি অফিসের সামনে এসে জেলা বিএনপির অফিসের দক্ষিণে অবস্থিত জেলা যুবদল অফিসে হামলা, ভাংচুর ও ককটেল নিক্ষেপ করে। এসময় অফিসের ভেতরে থাকা ৫০টি চেয়ার ও টেবিলে পেট্রোল ঢেলে দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। এসময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ছবি রাস্তায় এনে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। এজাহারে ১০ লক্ষাধীক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে উল্লেখ করা হয়েছে।
জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোশারফ হোসেন বাবু বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা বিএনপি ও যুবদলের অফিসে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এতে আওয়ামীলীগের ২৫৮ জনের বিরুদ্ধ্যে মামলা করা হয়েছে। এতে আমাদের দুই অফিসের ১০ লক্ষাধীক টাকারা আসবাবপত্রসহ প্রয়োজনীয় মালামাল তারা জ্বালিয়ে দিয়েছে।
এব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা বলেন, জেলা যুবদলের কর্যালয়ে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগের অভিযোগ এনে বাদিয়াখালি ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক রফিকুল ইসলামের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সদর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।