ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার এক মাদ্রাসা অধ্যক্ষ ও জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক স্কুলছাত্রীর মা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রী বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। লজ্জা, ভয় ও আতঙ্কে সে অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে দাবি পরিবারের।
অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ আলী। তিনি বাগমারা আইডিয়াল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও নবাবগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি।
ওই ছাত্রীর মা লিখিত বক্তব্যে জানান, ২৩ সেপ্টেম্বর তাঁর মেয়ের শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে যৌন হয়রানি করেন মোহাম্মদ আলী। এ সময় ওই কিশোরীকে ছুরি দেখিয়ে এ কথা কাউকে না বলতে ভয় দেখানো হয়। পরে ৩০ সেপ্টেম্বর ওই ছাত্রী মাদ্রাসায় গেলে দুপুরে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাকে নবাবগঞ্জের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সেখানে মানসিকভাবে আরও বেশি অসুস্থ হলে গতকাল দুপুরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
ওই ছাত্রীর মায়ের দাবি, তাঁর মেয়ে ভয়ে কথাও বলতে পারছে না। মানুষ দেখলেই আঁতকে উঠছে। কথা বলার একপর্যায়ে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি জানান, প্রভাবশালী ওই জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানেন না। তবু দ্রুত অধ্যক্ষ পদ থেকে তাঁর অপসারণ ও শাস্তির দাবি করেছেন তিনি।
অভিযোগটিকে সাজানো ও উদ্দেশ্যমূলক বলে উল্লেখ করেছেন মোহাম্মদ আলী। তিনি বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ন করতে মিথ্যা ঘটনা সাজানো হয়েছে। এ ছাড়া আমার ব্যক্তিগত এবং রাজনৈতিক ভাবমূর্তি নষ্ট করতে একটি মহল পরিকল্পিতভাবে এতে ইন্ধন জোগাচ্ছে।’
এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মমিনুল ইসলাম। সূত্র: প্রথম আলো