আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা–কর্ণফুলী) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান চৌধুরীর গণসংযোগে আওয়ামী লীগ নেতার উপস্থিতিকে ঘিরে তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের দৌলতপুর কাজী বাড়ি এলাকায় অনুষ্ঠিত এক গণসংযোগে আওয়ামী লীগ নেতা সায়েদ আল মাহমুদের উপস্থিতি ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।
জানা যায়, স্থানীয়ভাবে পরিচিত সায়েদ আল মাহমুদ বড়উঠান ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি। তিনি জুলাই-আগস্টে কোটা সংস্কার ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘোর বিরোধিতাকারী হিসেবে আলোচিত বলে জানা গেছে। ওই সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার একটি পোস্ট ব্যাপক বিতর্ক তৈরি করেছিল, যেখানে তিনি লিখেছিলেন, ‘আর করিস না জুলাই জুলাই, এবার হবে গণধোলাই।’
বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর স্থানীয় রাজনৈতিক মহল এবং জামায়াতের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় জামায়াত নেতা বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনে যিনি প্রকাশ্যে বিরোধিতা করেছেন এবং একজন চলমান আওয়ামী লীগ সভাপতি তাকে জামায়াত প্রার্থীর গণসংযোগে দেখাটা আমাদের জন্য হতাশাজনক। বিষয়টি এখন দলীয়ভাবে পর্যালোচনা করা হচ্ছে।’
এ প্রসঙ্গে কর্ণফুলী উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাস্টার মো. মনির আবছার চৌধুরী বলেন, ‘জুম্মার নামাজের পর আমাদের পূর্বনির্ধারিত গণসংযোগে অনেকেই স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। কে কোন দলের তা নির্ধারণ করা মূহূর্তের মধ্যে সম্ভব নয়। ছবি দেখে আমরাও বিস্মিত হয়েছি।’
এদিকে ঘটনার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে বড়উঠান ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সায়েদ আল মাহমুদ বলেন, ‘জামায়াত প্রার্থী গণসংযোগে আসায় দেখা হয়, কিছু সময় সেখানে অবস্থান করেছি, পরে চলে এসেছি। ঘটনাটি অতিরঞ্জিত করে উপস্থাপন করা হচ্ছে।’