৭ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২২শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
৭ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২২শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১৪ই রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

টার্গেট করে ৪টি মসজিদে হামলা চালিয়ে ৮ পাকিস্তানিকে হত্যা করেছে ভারত

spot_img

ভারতের মধ্যরাতের বিমান হামলায় পাকিস্তানের অন্তত ছয়টি স্থানে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে চারটি মসজিদ ছিল সরাসরি লক্ষ্যবস্তু। এই হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৮ জন পাকিস্তানি নিহত এবং আরও ৩৫ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন ২ জন।

পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, সোমবার রাত ১২টার কিছু পর ভারতের বিমান বাহিনী গোপনে পাকিস্তানের পাঞ্জাব, আজাদ কাশ্মীর এবং খাইবার পাখতুনখোয়া অঞ্চলের ছয়টি স্থানে হামলা চালায়—যার মধ্যে রয়েছে কোটলি, বাহাওয়ালপুর, মুরিদকে, বাগ, মুজাফফরাবাদ এবং সিয়ালকোট।

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই আগ্রাসনের জবাবে পাকিস্তান তিনটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে।

সকালের এক সংবাদ সম্মেলনে আইএসপিআরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল চৌধুরী বলেন, “ভারতের পক্ষ থেকে ছয়টি স্থানে মোট ২৪টি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। এতে ৮ জন নিহত, ৩৫ জন আহত এবং ২ জন নিখোঁজ রয়েছেন।”

যেসব মসজিদে হামলা চালানো হয়েছে-

আহমেদপুর ইস্ট, বাহাওয়ালপুর (পাঞ্জাব):
মসজিদে সুবহান ও এর আশাপাশে হামলা চালায় ভারত। এতে পাঁচজন নিহত হন, যাদের মধ্যে একজন তিন বছর বয়সী শিশু। আহত হন ৩১ জন—এর মধ্যে ২৫ জন পুরুষ এবং ৬ জন নারী। মসজিদের পাশাপাশি চারটি বসতঘরও ধ্বংস হয়।

মুজাফফরাবাদ (আজাদ কাশ্মীর):

মসজিদে বিলাল লক্ষ্য করে সাতটি বিস্ফোরণ চালানো হয়। হামলায় একটি মসজিদ সম্পূর্ণ ধ্বংস হয় এবং একজন কিশোরী আহত হয়। প্রতিবেশী ভবনগুলোতেও কম্পনের প্রভাব পড়ে।

কোটলি (আজাদ কাশ্মীর):

মসজিদে আব্বাত ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় পাঁচটি বিস্ফোরণ ঘটায় ভারতীয় বাহিনী। এতে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরী ও ১৮ বছর বয়সী এক তরুণ নিহত হন। আহত হন একজন নারী ও তার কন্যা। মসজিদের পাশাপাশি আশপাশের আবাসিক কাঠামোগুলোরও ক্ষতি হয়।

মুরিদকে, শেখুপুরা (পাঞ্জাব):

মসজিদে উম্মুল কুরা এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় চারবার আঘাত হানে ভারতীয় বিমান। এতে একজন পুরুষ নিহত হন, একজন আহত হন এবং দুইজন নিখোঁজ রয়েছেন। মসজিদ ধ্বংস হয় এবং আশপাশে কুমার সম্প্রদায়ের অর্থনৈতিক স্থাপনাগুলোরও ক্ষতি হয়।

কোটকি লোহারা, সিয়ালকোট (পাঞ্জাব):

এখানে দুটি মিসাইল আঘাত হানে। একটি খোলা মাঠে পড়ে এবং আরেকটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে বিস্ফোরিত হয়। মসজিদ বা বসতঘরের ওপর সরাসরি আঘাত না লাগায় ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

শাকরগড়, নারোয়াল (পাঞ্জাব):

এখানে দুটি বিস্ফোরণ ঘটে। কোনো মসজিদ লক্ষ্যবস্তু না হলেও একটি স্থানীয় ডিসপেনসারিতে সামান্য ক্ষতি হয়।

মেজর জেনারেল চৌধুরী এই হামলাকে “উসকানিমূলক ও কাপুরুষোচিত” বলে আখ্যায়িত করে বলেন, “এই বর্বর হামলার উপযুক্ত জবাব দেওয়া হচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে।”

রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম পিটিভি নিউজ নিরাপত্তা সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, “পাকিস্তান বাহিনী ভারতের আগ্রাসনের উপযুক্ত জবাব দিচ্ছে। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তান বিমান বাহিনী দুটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে এবং পাকিস্তানের সব বিমান নিরাপদে রয়েছে।”

এদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী এই পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য সকাল ১০টায় জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির জরুরি বৈঠক আহ্বান করেছেন।

সূত্র : ডন

সর্বাধিক জনপ্রিয়

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- বিজ্ঞাপন -spot_img

সর্বশেষ