
তাহিরপুর প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে চোর সন্দেহে ৫ যুবককে সারা রাত গাছে বেঁধে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলা সদর ইউনিয়নের উজান তাহিরপুর গ্রামে এই নির্মম ঘটনা ঘটে।
নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিরা হলেন- উপজেলার সদর ইউনিয়নের উজান তাহিরপুর গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে সাজ উদ্দিন (২৫), বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল হকের ছেলে সরোয়ার হোসেন (৩০), গোল আহমদের ছেলে জয় হোসেন (২৪), ছোবাহান মিয়ার ছেলে মশিবুর রহমান (২৬), সুহেল মিয়ার ছেলে মওদুদ মিয়া (২৬)।
জানা যায়, গত দেড় মাস পূর্বে উজান তাহিরপুর গ্রামের রবি আওয়ালের ছেলে দোকানদার ইয়াছিন মিয়ার বাড়ির পাশে একটি চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ইয়াছিনের দোকানের সামনে দেখে সাজ উদ্দিন ও মশিবুরকে চোর সন্দেহ করে দোকানি ইয়াছিন মিয়া। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় সাজ উদ্দিন ও মশিবুরের সাথে ইয়াছিনের। একপর্যায়ে সাজ উদ্দিন, মশিবুর, মওদুদু, সরোয়ার ও জয় হোসেন কে আটকে রশ্মি দিয়ে মসজিদ সংলগ্ন গাছে বেঁধে তাদের অমানবিক নির্যাতন করে ইয়াছিন মিয়া। মঙ্গলবার ভোরে বিষয়টি জানাজানি হলে নির্যাতিতদের স্বজনরা উত্তেজিত হয়ে লাঠিসোটা নিয়ে ইয়াছিনের বাড়িতে যায় তাদের উদ্ধার করতে। পরে সংবাদ পেয়ে সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। এসময় ইয়াছিন মিয়াকে সেনা সদস্যরা আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এদিকে এ ঘটনাকে ঘিরে বিকালে তাহিরপুর সদর বাজারে বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
তাহিরপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জুনাব আলী বলেন, ঘটনাটি অমানবিক। চুর সুন্দেহে তাদের বেঁধে রাখা হয়েছিল। এ বিষয়ে উভয় পক্ষের মতামত নিয়ে আগামী শুক্রবার স্থানীয় ভাবে বসে সালিসের মাধ্যমে ঘটনাটি নিষ্পত্তি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তাহিরপুর থানা এসআই আবুল কালাম জানান, দোকানি ইয়াছিন মিয়াকে সেনাবাহিনীর একটি টিম আটক করে থানায় হস্তান্তর করেছে। ঘটনাটি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা শালিসের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করবেন বলে থানায় একটি লিখিত দিয়েছেন।