
বগুড়ার ধুনট উপজেলার পাকুড়িহাটা গ্রামে বিদেশফেরত কিছু শ্রমিকের হামলায় এক পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। অভিযোগ রয়েছে, হামলাকারীরা পরিবারের নারী সদস্যকে ইজ্জতহানির হুমকিও দিয়েছে। এতে গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তোতা মিয়ার ছেলে সোহানুর রহমান দীর্ঘদিন সৌদি আরবে থেকে ভালো উপার্জন করছিলেন। দুলাভাই মিঠু মণ্ডলের অনুরোধে তিনি প্রথমে মিঠুর ছেলে মনির মণ্ডলকে সৌদিতে নিয়ে যান। মনির প্রায় দুই বছর কাজ করে দেশে ফিরে আসেন। পরে মিঠুর মাধ্যমেই পাকুড়িহাটার আরও চার যুবক—লুৎফর রহমান, মাসুদ রানা ও বাবু মণ্ডলকে সৌদিতে নিয়ে যান সোহানুর। জনপ্রতি ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা নেওয়া হলেও সোহানুর পান ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা করে।
সৌদিতে গিয়ে তারা প্রাইভেট গাড়ি চালক হিসেবে কাজ শুরু করলেও একের পর এক দুর্ঘটনায় জড়িয়ে পড়েন। অভিযোগ রয়েছে, তারা যে ক্যাম্পে থাকতেন সেখান থেকে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা চুরি করে গোপনে দেশে ফিরে আসেন।
দেশে ফিরে তারা গ্রামবাসীর কিছু লোককে উসকে দিয়ে সোহানুরের বাড়িতে হামলা চালান। সোহানুরের বাবা তোতা মিয়া জানান, মিথ্যা ঘটনার অভিযোগ তুলে তাদের বাড়ি ঘেরাও করা হয় এবং প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এমনকি বাড়িতে আগুন দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। এতে তারা স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারছেন না।
সোহানুরের বোন সোনি বলেন, হামলাকারীরা তাকে ইজ্জতহানির হুমকি দিয়েছে। এতে তিনি ও তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। তারা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে মিঠু মণ্ডলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ধুনট থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।