বগুড়ায় নিখোঁজের ১১ দিন পার হলেও এখনো খোঁজ মেলেনি স্কুলছাত্রী কবিতা মনি’র (১৬)। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৪ জুলাই। সেদিন বান্ধবীর সঙ্গে শহরের মমইন ইকোপার্কে ঘুরতে গিয়ে নিখোঁজ হয় সে। পরিবারের অভিযোগ, কবিতাকে পরিকল্পিতভাবে অপহরণ করা হয়েছে।
নিখোঁজ কবিতা শহরের সুত্রাপুর এলাকার বাসিন্দা মনোয়ার হাকিম কবিরের মেয়ে। এ ঘটনায় সদর থানায় মামলা দায়ের করা হলে পুলিশ এ পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। রিমান্ডে নেয়া হলেও পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে মুখ খোলেনি কেউ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সদর থানার হাজরাদিঘী এলাকার মৃত আনছার রহমানের ছেলে পিয়াস (২৫), আলী জামালের ছেলে শরিফুল ইসলাম (২০), দিলবর হোসেনের ছেলে স্মরণ হোসেন (২৮) এবং ইসলামপুর হরিগাড়ী এলাকার আমিনুল ইসলামের মেয়ে আসমা আক্তার (১৯)।
তদন্তকারী কর্মকর্তা স্টেডিয়াম পুলিশ ফাঁড়ির এসআই জাহাঙ্গীর আলম জানান, তাদের আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। তবে কেউই নির্দিষ্ট করে কিছু বলেনি।
তাদের মধ্যে আসমা আক্তার স্বীকার করেছে যে, কবিতা মনি তাদের সঙ্গে ইকোপার্কে গিয়েছিল এবং পরে সে একা বাড়ির পথে রওনা দেয়। এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
কবিতার বাবা মনোয়ার হাকিম কবির বলেন, “আমার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে অপহরণ করা হয়েছে। ইকোপার্কে কর্মরত নিরাপত্তা প্রহরী স্মরণ ও টিএমএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লিফটম্যান শিহাব (ওরফে সোহেল) এ ঘটনায় জড়িত। শিহাব এখনও পলাতক। আমি বিশ্বাস করি, শিহাবকে ধরলেই আমার মেয়েকে উদ্ধার করা সম্ভব হবে।”
পুলিশ বলছে, পলাতক শিহাবকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তবে সময় পেরিয়ে গেলেও স্কুলছাত্রী কবিতা মনির সন্ধান না মেলায় উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন তার পরিবার।