বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামে এক কিশোরীকে বিয়ের মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে বারবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় কিশোরীটি বর্তমানে ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ভুক্তভোগীর দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত যুবক আলফী আমিনকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মামলার বিবরণ ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভবানীপুর গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে আলফী আমিন একই গ্রামের এক কিশোরীর (ছদ্মনাম ‘প্রিয়া’) সঙ্গে একই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার সুবাদে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এই সম্পর্কের সূত্র ধরে গত ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে আলফী আমিন তার বাড়িতে কাউকে না থাকার সুযোগে কিশোরীকে ডেকে নেন। সেখানে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি কিশোরীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।
এরপর থেকে বারবার একই প্রলোভন দেখিয়ে আলফী আমিন কিশোরীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে থাকেন। ফলস্বরূপ কিশোরীটি বর্তমানে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। ঘটনাটি জানাজানি হলে কিশোরীর জীবনে চরম সামাজিক ও মানসিক সংকট নেমে আসে।
অবশেষে সাহস করে ভুক্তভোগী কিশোরী গত ৩০ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে শেরপুর থানায় অভিযুক্ত আলফী আমিনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পরপরই শেরপুর থানা পুলিশ দ্রুত অভিযানে নামে। থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সিয়াম ও এসআই সইফের নেতৃত্বে একটি দল ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত আলফী আমিনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস.এম. মঈনুদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সংবাদমাধ্যমকে জানান, “মামলা দায়েরের পরপরই আমরা অভিযান চালিয়ে আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তার করেছি। আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তাকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।”