বগুড়া শাজাহানপুরে কলা চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা। অল্প খরচে লাভ বেশি হওয়ায় খুশি চাষিরা। অনেক কৃষকের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পেছনে রয়েছে কলা চাষ। শুধু জৈব সার ব্যবহার করে কলা চাষ করা যায়। তাই খরচ কম হয়। আর বাজারে কলার ন্যায্য মূল্য পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।তবে পানামা ,গুচ্ছমাথা,সিগাটোকা,কালোপচা রোগের উপদ্রব বেড়ে যাওয়া সহ অকালে কলা পেকে যাওয়ায় লোকসানের সম্ভবানা দেখে দিয়েছে।
ইমদাদুল রহমান নামে কলা চাষি বলেন,কলার ফলন ভালো হয়েছে তবে জাত ভেদে কলার বিভিন্ন রোগ হচ্ছে, সাগর কলা অপোক্ত অবস্থায় পেকে যাচ্ছে,অনুপম কলাতে সিগাটোকা রোগ হচ্ছে।এতে করে আমরা হতাশায় ভূগছি,এসব রোগ মহামারি আকার ধারন করলে লোকসান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা আমেনা খাতুন বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১ হাজার হেক্টর জমিতে কলা চাষ হয়েছে। হেক্টর প্রতি ১৬ টন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও এবছর ভালো ফলন হওয়ায় প্রায় ২১ টণ উৎপাদনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।আর রোগবালাই দমনের জন্য আমরা নিয়মিত বাগানে পর্যবেক্ষণ করছি।রোগ প্রতিরোধের জন্য কৃষকদেরকে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলায় বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে,অনুপম কলা ৪০ টাকা হালি,সাগর কলা ২৫ টাকা ও চাম্পা কলা ৩০ টাকা হালিতে বিক্রি হচ্ছে।বিভিন্ন ফসল থেকে কলা চাষ লাভজনক হওয়ায় কলা চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা।