বগুড়ায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা, গড়ম কমবে না বৃষ্টি ছাড়া
চৈত্রের শেষে দিকে এসে বগুড়ায় তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে। বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) বিকাল ৩টায় জেলায় মৌসুমের সর্বোচ্চ ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। অসহনীয় গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় আবহাওয়া অফিস বলছে, এ জেলায় গত কয়েকদিন ধরে মৃদু তাপপ্রবাহ চলছে। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা নেই।
বগুড়া আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক শাহ্ আলম জানান, বর্তমানে এ জেলাসহ দেশের কোনও কোনও এলাকায় মৃদু তাপপ্রবাহ চলছে। আজ বিকাল ৩টার দিকে চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২৪ শতাংশ। দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৪.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন ২১ দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তিনি আরও বলেন, এ রকম তাপমাত্রা আরও এক সপ্তাহ থাকতে পারে। এ জন্য বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা খুব কম। আর বৃষ্টি হলেই তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে।
এদিকে, চৈত্র মাস শেষ হতে থাকলেও বৃষ্টি না হওয়ায় প্রচণ্ড গরম অনুভূত হচ্ছে। এতে বিশেষ করে রোজাদাররা খুব কষ্ট পাচ্ছেন। তৃষ্ণা নিবারণ করতে তারা ইফতারের পর ঠান্ডা শরবত, পানি, তরমুজ ও আইসক্রিম খাচ্ছেন। গরমের কারণে ৩০ টাকা কেজির তরমুজ বৃহস্পতিবার ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে।
বগুড়া সদরের শাখারিয়া গ্রামের কৃষক মোহাব্বত আলী, নুরুজ্জামান সরদার, মোসলেম উদ্দিন, জিয়াউল হক প্রমুখ জানান, প্রচণ্ড দাবদাহের কারণে তারা ঠিকমতো মাঠে যেতে পারছেন না। বৃষ্টি না হওয়ায় জমিতে সেচ দিলেও একটু পর শুকিয়ে যাচ্ছে।
অটো রিকশাচালক গাবতলীর সুখানপুকুর গ্রামের মোকাররম হোসেন জানান, গত কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড গরম। মনে হচ্ছে ‘লু হাওয়া’ বইছে। গরমের কারণে দিনের বেলা যাত্রী কম। এমন গরম অব্যাহত থাকলে যাত্রী সংকট দেখা দেবে। এতে ঈদের আগে পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্ট করতে হবে।