পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ইউনিয়ন বিএনপির নেতা লিয়াকত আলি লিটনের (৪৫) বিরুদ্ধে ঈশ্বরদী থানায় ধর্ষণের মামলা করেছেন এক নারী। রবিবার (২৮শে সেপ্টেম্বর) দিলপাশার ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি লিয়াকত আলি লিটনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ওই নারী। ভুক্তভোগী ওই নারী পাশ্ববর্তী চাটমোহর উপজেলার বাসিন্দা।
ঈশ্বরদী থানায় দায়ের করা মামলা সূত্রে জানা গেছে, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিএনপির ওই নেতা গত ১১ মাস যাবৎ ঈশ্বরদী, বগুড়াসহ বিভিন্ন স্থা্নে নিয়ে ওই নারীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন। পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থানাধীন স্বপ্নদ্বীপ রিসোর্ট সেন্টার, বগুড়া আবাসিক হোটেল এবং তার বিভিন্ন বান্ধবীর বাসায় নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছেন।
মামলাসূত্রে আরও জানা যায়, ২০২৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর রাত ৯ টার দিকে পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থানাধীন স্বপ্নদ্বীপ সেন্টারের একটি কক্ষে নিয়ে ওই মহিলার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। এরপর থেকে মহিলা লিটনকে বিবাহের জন্য চাপ প্রয়োগ করলে প্রথমে নানান টালবাহানা করে এবং পরবর্তীতে তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। মহিলাটি উপায়ান্তর না পেয়ে গত ২৭ সেপ্টেম্বর বিকাল ৩ টার দিকে ভাঙ্গুড়া থানাধীন বিএলবাড়ী স্কুল এন্ড কলেজে উপস্থিত হয়। এসময় তিনি লিটনের কাছে আবারো বিয়ের জন্য দাবি করেন। কিন্তু ওই সময় লিয়াকত আলী লিটন তাকে দেখে খারাপ আচরণ করে, ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে এবং তাকে স্থান ত্যাগের জন্য চাপ সৃষ্টি করে। স্থানীয় লোকজন আশ্বাস দেওয়ায় মহিলা সেখান থেকে বাড়ি ফিরে যান।
উক্ত ঘটনার জের ধরে গত ২৮ সেপ্টেম্বর মহিলাটি ভাঙ্গুড়া বাজারের অবস্থানকালে দুপুরে অভিযুক্ত লিটনের বন্ধু মো. আ. রহিম বাচ্চু তার মোবাইল নাম্বার থেকে ওই মহিলার মোবাইলে ফোন দিয়ে গত ২৭ তারিখের ঘটনার প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং এ বিষয়ে বেশি কিছু করলে তার ক্ষতিসাধণ হবে বলে হুমকি প্রদান করে।
ঘটনার বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত দিলপাশার ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি লিয়াকত আলীর ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে ফোন দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।