নেপালে জেনজি প্রজন্মের আন্দোলনে সরকারের পতনের পর দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন করে আলোচনায় এসেছে তরুণদের গণবিক্ষোভ। এবার সেই ঢেউ আছড়ে পড়েছে ভারতেও। কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা লাদাখে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ বুধবার রূপ নেয় সহিংসতায়। বিজেপি অফিসে আগুন, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ এবং গুলিবর্ষণে প্রাণ হারিয়েছে অন্তত চারজন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, দীর্ঘদিনের বঞ্চনা ও সাংবিধানিক স্বীকৃতির অভাবেই জেগে উঠেছে লাদাখবাসী। ২০১৯ সালে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে লাদাখকে আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে রূপান্তরিত করে কেন্দ্র সরকার। কিন্তু ৯০ শতাংশের বেশি মানুষ উপজাতি হওয়ায় তারা উত্তর-পূর্ব ভারতের মতো বিশেষ সাংবিধানিক অধিকার এবং ষষ্ঠ তফসিলের আওতায় স্বায়ত্তশাসনের দাবি জানিয়ে আসছে।
লাদাখ ভারতের এক কৌশলগত এলাকা, যেখানে চীনের সঙ্গে ১,৬০০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। ২০২০ সালের ভারত-চীন সংঘর্ষের কেন্দ্রস্থলও ছিল এই অঞ্চল। এমন এলাকায় অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
চলমান আন্দোলনে নতুন মোড় আসে যখন দুই প্রবীণ আন্দোলনকারী অনশন চলাকালে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর লে শহরে দোকানপাট বন্ধের ডাক দেওয়া হয়। তবে জেনজি তরুণদের একাংশ মনে করে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে সরকার কর্ণপাত করছে না। তাই তারা রাস্তায় নেমে আরো তীব্র ও আগ্রাসী আন্দোলনে জড়ায়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, নেপালের মতো ভারতেও এই তরুণ প্রজন্মের আন্দোলন মোদি সরকারের জন্য ভয়াবহ রাজনৈতিক সংকট তৈরি করতে পারে। এখন প্রশ্ন—এটি কি কেবল আঞ্চলিক আন্দোলন, নাকি ভারতীয় রাজনীতিতে মোড় ঘোরানো সূচনা?