মধ্যপ্রাচ্য এবং পশ্চিমা দেশগুলোতে প্রবাসীরা দেশি রাজনীতিতে যুক্ত। সে সব দেশে বিএনপির ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের অবস্থান অনেক পুরোনো। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যে কোনো দল বা সংগঠন করতে হলে তার নিবন্ধন করতে হয়। তবে বাংলাদেশের বিভিন্ন দলের নামে যারা রাজনীতি করেন, সে সব ব্যানারের কোনো নিবন্ধন নেই বলে জানা গেছে।
বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের আইনে বিদেশে কোনো দলের শাখা গঠনে বিধি-নিষেধ আছে।
যে কারণে পশ্চিমা দেশগুলোয় দলের শাখা হিসেবে ব্যবহার করা হয় না। যেমন যুক্তরাষ্ট্র বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি। এই একইরকম ব্যানার ব্যবহার করা হয় যুক্তরাজ্যেও।
তবে তাদের কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে দেশের মূল দলের শীর্ষ নেতৃত্বের অনুমোদন নেওয়া হয় বলে সংশ্লিষ্টরা বলছেন।
এদিকে জামায়াতের নেতা-কর্মী-সমর্থকেরা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপে ও মধ্যপ্রাচ্যে তাদের দলীয় নাম বাদ দিয়ে সামাজিক, স্বেচ্ছ্বাসেবক, মুসলিম উম্মাহসহ বিভিন্ন নামে বা ব্যানারে তৎপরতা চালায়।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ছাত্র নেতৃত্বের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপিও বিভিন্ন দেশে কমিটি করেছে বলে জানা গেছে। গণঅধিকার পরিষদের ৫০টির মতো দেশে প্রবাসী অধিকার পরিষদ নামে সংগঠন রয়েছে দলটির একাধিক নেতা জানিয়েছেন।
দেশের বাইরে দলীয় কর্মকাণ্ড বন্ধে কোনো দলের কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেই। বরং তারা ফায়দা নিচ্ছেন বলে বিশ্লেষকেরা মনে করেন।
প্রবাসীদের রাজনীতির পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, বিদেশেও তৎপরতা চালানোর ক্ষেত্রে কৌশলী জামায়াত।
আইনে বিধি-নিষেধ থাকলেও শাস্তির বিষয় রাখা হয়নি বলে জানান নির্বাচন পর্যবেক্ষক আব্দুল আলীম।
তিনি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে নির্বাচন কমিশন সম্পর্কিত সংস্কার কমিশনের সদস্য। তিনি বলেন, বিদেশে কোনো দলের শাখা থাকলে তার নিবন্ধন বাতিল হবে কিনা অথবা শাস্তি কী হবে-তা বলা নেই। এটি আইনের বড় দুর্বলতা। তারা এ ব্যাপারে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে প্রস্তাব দিয়েছেন।
এছাড়া তিনি উল্লেখ করেন, নির্বাচন কমিশনের তদারকি করার ব্যবস্থাও গড়ে তোলা হয়নি। ফলে আইন বা বিধি-নিষেধ কাগজে-কলমেই রয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন ওই নির্বাচনি পর্যবেক্ষক।