বেরোবি প্রতিনিধি: বিশ্বের স্বনামধন্য চার বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপ পেয়েছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী মাহামুদুল হাসান মেহেদী । বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৯-২০২০ সেশনের শিক্ষার্থী। তিনি মৃত মো. মোস্তাফিজার প্রধান ও কল্পনা দম্পতির একমাত্র সন্তান। তার বাসা গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায়। । বাবা ব্যাবসা করতেন এবং মা গৃহিণী।
এ শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় পড়াকালীন করেছেন বাঁধন,ব্রডা ডিবেট ক্লাব সহ বিভিন্ন সংগঠন। এসএসসিতে জিপিএ ৫ ও এইচএসসি পেয়েছেন ৪.৫০। প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন তার নিজ বিভাগেও। অনার্সে পেয়েছেন সিজিপিএ ৩.৬৪ । অবশেষে,স্কোর-৭ পেয়ে আইইএলটিএস সম্পন্ন করেন তিনি। এ পর্যন্ত তার ১২ টি রিসার্চ পেপার প্রকাশিত হয়। সবগুলোই সেরা জার্নালে প্রকাশিত হয়।
এ ছাড়া আন্তর্জাতিক ও ন্যাশনাল সম্মেলনে পোস্টার উপস্থাপনা করেছেন চারবার। বেরোবি শিক্ষক অধ্যপক ড.আবু রেজা মোঃ তৌফিকুল ইসলামের রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কর্মরত আছেন।
তিনি অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অফ সিডনি,মালেশিয়ার ইউনিভার্সিটি অফ তেরেঙ্গানু , থাইল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অফ থাম্মাসাত।এছাড়াও টেস্ট টোকিও স্কলাশীপ যাদের অধীনে থাইলান্ডের ছয় বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ফুল ফাউন্ডেড স্কলারশিপ পেয়েছেন।
তবে তিনি মাস্টার্স ডিগ্রি জন্য ভর্তি হয়েছেন থাইল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অফ থাম্মাসাতের বায়োকেমিকেল ইন্জিনিয়ারিং বিভাগে।
এ বিষয়ে মাহামুদুল হাসান বলেন, আমি মুলত ৩য় বর্ষ থেকে রিসার্চে কাজ শুরু করি ।এত কঠিন পরিশ্রমের পর যখন সফলতা এসেছে।তখন তো সবাই খুশি থাকে।শুক্রবার যখন নামাজ পড়ে ল্যাপটপটা চেক করে দেখি আমার মেইল আসছে স্কলারশিপের।তখনকার অনুভূতি বলে প্রকাশ করার মতো না।
এ বিষয়ে বেরোবি শিক্ষক ড.আবু রেজা মোঃ তৌফিকুল ইসলাম বলেন,আমি খুবই খুশি। সে কঠোর পরিশ্রম করেছে। আমিও তাকে সাহায্য করেছি। এর ফলে সেই স্কলারশিপ পেয়েছে।
বেরোবি উপাচার্য ড. মোঃ শওকত আলী বলেন,"প্রথমে তাকে অভিনন্দন জানাই। পাশাপাশি এরকম উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত অন্যান্য শিক্ষার্থীদের মাঝেও ছড়িয়ে পড়ুক। এটা আমি প্রত্যাশা করি"