
আজ ৩ মে, বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ১৯৯৩ সালে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এই দিবসের সূচনা করেছে। ইউনেস্কোর জেনারেল কনফারেন্সের সুপারিশের আলোকে সাধারণ পরিষদ এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ইউনেস্কো হলো জাতিসংঘের বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থা। এবার মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের ৩০তম বার্ষিকী পালিত হচ্ছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হচ্ছে। এ উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সম্পাদক পরিষদ একটি আলোচনা সভা করেছে। ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে আজ বুধবার এ উপলক্ষ্যে বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়ে সাধারণত শঙ্কা থাকে। বিশেষ করে রাজনৈতিক দলগুলোর উচ্ছৃঙ্খল কর্মীরা অনেক সময় অসহিষ্ণু হয়ে ওঠে। এদিকে নির্বাচনের সময়ে সাংবাদিকদের জন্য নির্বাচন কমিশন নীতিমালা প্রণয়ন করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি), সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)সহ বিভিন্ন সংগঠন। সাগর-রুনী হত্যার বিচার না হওয়ায় সাংবাদিকদের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে উদ্বেগ আছে।
দিবসটি উপলক্ষ্যে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দফতরে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। ১৯৪৮ সালের মানবাধিকারসংক্রান্ত সর্বজনীন ঘোষণার ১৯ অনুচ্ছেদের আলোকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা অবশ্য কর্তব্য। প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় অবাধে মতপ্রকাশকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বলা হয়। ১৯৯১ সালে আফ্রিকার বিভিন্ন সংবাদপত্রের সাংবাদিকরা উইন্ডহোকে মিলিতভাবে সংবাদপত্রের অবাধ নীতিমালা ঘোষণা করেন। উইন্ডহোক ঘোষণার বার্ষিকীকে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস হিসাবে ঘোষণা করে জাতিসংঘ। ইউনেস্কো তাই আজ বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালন করছে।