সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সারাদেশের মতো সুনামগঞ্জেরও কয়েকটি উপজেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে পক্ষে-বিপক্ষে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে। ছাত্র-জনতার অভুত্থানের পর কোন কোন এলাকায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সদ্য পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনা সরকারের আমলে এসব শিক্ষক অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ার কারণে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ক্ষোভ-বিদ্বেশ থেকেই শিক্ষকদের উপর হামলা হচ্ছে বলে দাবী করেছেন নির্যাতিত শিক্ষকরা। শিক্ষকদের নিয়ে এমন অবস্থা তৈরি হওয়া কাম্য নয় দাবী করে সুনামগঞ্জ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা বলেছেন, শিক্ষকের গায়ে হাত তুলা ও হেনস্থা করার ঘটনা কোনভাবেই মানা যায় না।
মঙ্গলবার জগন্নাথপুরে রানীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি করেছে শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থী বলেছেন, এই প্রধান শিক্ষক চার তারিখের আগে স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী ছাত্রদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন।
মধ্যনগর বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষকের পদত্যাগের পক্ষে-বিপক্ষে কর্মসূচি হয়েছে। রোববার শিক্ষার্থীদের চাপে পদত্যাগ করেন ইংরেজি শিক্ষক শরীফ উদ্দীন। অপর এক শিক্ষক শামীম আহমেদকে দুই মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয়। জানা গেছে, স্কুলে সময় কম দিয়ে প্রাইভেট ছাত্র পড়ানো নিয়ে এলাকার ক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা শরীফ উদ্দিনের উপর চড়াও হয়।
অন্যদিকে পরদিন সোমবার সকালে মেধাবী শিক্ষক শরীফ উদ্দীনকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগে বাধ্য করা ও শিক্ষক শামীম আহমেদকে সাময়িক বরখাস্ত করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেন আরেকদল শিক্ষার্থী।
এছাড়াও মঙ্গলবার দোয়ারাবাজারে লিয়াকতগঞ্জ স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ অপসারণসহ নয় দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছে। ছাতক সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতেও গেল বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।
এদিকে, দেশব্যাপী শিক্ষকের গায়ে হাত তুলা ও হেনস্থার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে সুনামগঞ্জ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। বুধবার হোসেন বখত চত্ত্বরে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।