
মাজহারুল ইসলাম নাঈম – মুরাদনগর
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক সংস্কারের দাবিতে জনস্বার্থে কথা বলতে গিয়ে জামায়াতে ইসলামীর এক নেতা উপজেলা প্রকৌশলীর বিরূপ ও অপমানজনক আচরণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর সম্প্রতি আরেকটি ভিডিও সামনে এসেছে, যা প্রকৃত ঘটনার প্রেক্ষাপট স্পষ্ট করে তোলে।
ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বিকেলে, মুরাদনগর উপজেলা প্রকৌশলী কাজী ফয়সাল বারী পূর্ণের কার্যালয়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের বাঁশকাইট থেকে পান্তি বাজার পর্যন্ত সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে লিখিত আবেদনসহ প্রকৌশলীর কাছে যান মাহবুব আলম মুন্সীসহ স্থানীয় কয়েকজন। মাহবুব আলম মুন্সী উপজেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি।
তারা জানান, আবেদনটি নিয়ে প্রকৌশলী গড়িমসি শুরু করেন। পরে উত্তেজিত হয়ে বলেন, রাস্তা ভেঙ্গে পানি জমে থাকলে আপনারা গিয়ে বালতি দিয়ে সে পানি পরিষ্কার করেন। এমন বক্তব্যে উপস্থিত লোকজনের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
এই ঘটনার একটি নতুন ভিডিও ফুটেজ আমাদের হাতে এসেছে, যেখানে স্পষ্ট দেখা যায়, প্রকৌশলী নিজেই ভিডিও করতে দেখে উত্তেজিত হয়ে পড়েন এবং এক পর্যায় বলেন আনসারকে ডাকেন, উনাকে বাইরে নিবেন না। আপনি দাঁড়ান, আমি ওনাকে নিয়ে ইউএনও রুমে যাব।
প্রকৌশলীই উত্তেজনার সূচনা করলে পরবর্তীতে দ্বিপাক্ষিক উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে রূপ নেয়।
মাহবুব আলম মুন্সী বলেন, আমরা জনস্বার্থে দাবি জানিয়েছি। কিন্তু প্রকৌশলীর অসহিষ্ণুতা পরিস্থিতিকে জটিল করেছে। ইউএনও মহোদয়ের অনুরোধে আমি ভিডিও ডিলিট করেছি কিন্তু উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে একটি অংশ ছড়িয়ে দিয়ে আমাকে হেয় করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি কল রিসিভ করেন নি।
মুরাদনগর জামায়াতের আমীর মাওলানা আ.ন.ম ইলিয়াস বলেন, ইউএনও স্যারের উপস্থিতিতে বিষয়টির মীমাংসা হয়েছে।
মুরাদনগর ইউএনও মো. আবদুর রহমান জানান, রাস্তা সংস্কারের আবেদনটি নিয়ে প্রথমে আমার কাছে এসেছিল। আমি তাদেরকে উপজেলা প্রকৌশলীর কাছে পাঠিয়েছি। ওখানে গিয়ে তারা আসলে কি করেছে আমি তা জানি না। পরে আমি তাদের নেতৃত্ব স্থানীয় লোকদেরকে ডেকেছিলাম। তারা উপস্থিত হয়ে এ বিষয়টির ওপর দুঃখ প্রকাশ করেছেন।