এফ.এম রিপন আহম্মেদ:
বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলার উন্নয়নের রুপকার, সাবেক ছাএনেতা, শাজাহানপুর উপজেলা বিএনপির সফল প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, সাবেক সফল চোপিনগর পরিষদের চেয়ারম্যান,চক চোপিনগর যুব উন্নয়ন সংঘসহ অসংখ্য সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা, প্রয়াত ফজলুল হক রতন এর আজ ৯তম মৃত্যু বাষির্কী। ক্ষণজন্মা এই নেতা ২০১৬ সালের ৮ মার্চ মাএ ৫৩ বছর বয়সে সবাইকে কাদিয়ে পাড়ি জমান না ফেরার দেশে।
আমার দেখা, সবচেয়ে সাহসী,সৎ,মহৎ,মানব দরদী ছিলেন তিনি। তার মতন উৎদার, পরোপকারী মানুষ আমি জীবনে কম দেখেছি। তিনি নিজের বা পরিবারের কথা কখনোই ভাববেননী। এ মানুষটি সারাটি জীবন চোপীনগর তথা দক্ষিণ বগুড়ার মানুষের কল্যানে কথা ভেবেছেন। এইগুণী মানুষটি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত অসহায়,নিপীড়িত মানুষের পাশে দাড়িয়ে লড়ায় করেছেন সকল অন্যায়, জলুমের বিরুদ্ধে। গরীব দুখি মানুষের কাছে তিনি ছিলেন রবিন হুড হিসাবে পরিচিত। এলাকার মানুষের বিপদে -আপদে তিনি ছিলেন ছাতার মতন। শত ব্যস্ততাকে উপেক্ষা করে তিনি মানুষের পাশে ছিলেন জীবনের শেষ দিনটি পর্যন্ত। ক্ষুদ্র মানুষ হিসেবে অসংখ্য মানবিক কাজে তার সফর সঙ্গী হয়েছে আমি। খুব কাছ থেকে দেখেছি গন মানুষের প্রতি তার অকৃত্রিম ভালোবাসা।
একজন সংগঠক হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার যে উৎসাহ, তার কাছ থেকেই পেয়েছি।
তাকে নিয়ে দু'কলম লেখতে গিয়ে স্মৃতি মন্থরে চোখ ভিজে আসছে। কত স্মৃতি।
মাঝে মাঝে সময় পেলেই ফোনে ডেকে নিয়ে বসতেন, আমার দুবলাগাড়ী অফিসে। সাধারণ জনতার ঢল নামতো তাকে ঘিরে। চলতো এলাকার উন্নয়নের নানা আলোচনা।
শাজাহানপুর উপজেলার এমন কোন জায়গা নেয় যেখানে তার উন্নয়নের ছোয়া পড়েনী। তার একান্ত প্রচেষ্টায় এলাকার অসংখ্য রাস্তা ঘাট, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দিরে ব্যপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। উন্নয়নের এই ম্যাজিক ম্যান শাজাহানপুর উপজেলাকে মডেল উপজেলায় রুপান্তর করার জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে গেছেন।
গণমানুষের এই প্রিয় নেতার অকাল মূত্যুর ৯ বছর অতিবাহিত হলেও তিনি আজও বেচে আছেন তার নিজ কর্মগুণে। তার শূন্যতা কখনো পূরুন হবার নয়। মহাণ আল্লাহপাক তাকে জান্নাত নসিব করুন। আমিন।