যে ১১টি অভ্যাস মস্তিষ্কের ১২টা বাজাচ্ছে
এমন অনেকেই আছেন যাদের এখন আর বাইরে যেতে ভালো লাগে না। নিজের অন্ধকার ঘরে শুয়ে বসে থেকে কিংবা হেডফোনে জোরে গান শুনে সময় কাটাতে ভালো লাগে।
কিন্তু এভাবে আপনি যে আপনার ব্রেনের ১২টা বাজাচ্ছেন সেটা কী জানেন? মস্তিষ্কের ক্ষতিকারক এমন ১১টি অভ্যাস এবং এই ক্ষতি কীভাবে কাটিয়ে উঠবেন সেই বিষয়ে ব্যাখ্যা থাকছে এই নিবন্ধে।
এখানে দেয়া বেশিরভাগ তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল, ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ নিউরোলজিক্যাল ডিজঅর্ডার্স অ্যান্ড স্ট্রোকসহ বিভিন্ন গবেষণা প্রতিবেদন থেকে।
. অপর্যাপ্ত ঘুম
যুক্তরাষ্ট্রের প্রিমিয়ার নিউরোলজি অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, আমাদের মস্তিষ্কের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণে।
২. সকালের নাস্তা এড়িয়ে যাওয়া
সারা রাত না খেয়ে থাকার পর, দিনে কাজ করার শক্তি আসে সকালের নাস্তা থেকে। কিন্তু আমরা অনেকেই সকালে তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে নাস্তার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজটি এড়িয়ে যাই।
এতে যেটা হয় রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায় যার প্রভাব গিয়ে পড়ে মস্তিষ্কে।
দিনের পর দিন নাস্তা না খাওয়ার ফলে মস্তিষ্কের ক্ষয় হতে থাকে, কোষগুলো কার্যকারিতা হারায়।
এতে পুষ্টির অভাবে স্বাভাবিক কাজগুলো করা কঠিন হয়ে যায়।
. পর্যাপ্ত পানি পান না করা
আমাদের মস্তিষ্কের ৭৫% পানি। তাই মস্তিষ্কের সবচেয়ে ভালো কাজ করার জন্য একে আর্দ্র রাখা বেশ জরুরি।
পানির অভাবে মস্তিষ্কের টিস্যু সঙ্কুচিত হয়ে যায় ও কোষগুলো কার্যক্ষমতা হারায়। এতে যৌক্তিক চিন্তা বা সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা কমে যেতে পারে।
৪. অতিরিক্ত চাপ এবং শুয়ে বসে থাকা
৫. গুগল সার্চ
খেয়াল করে দেখবেন আমাদের আগের প্রজন্মের অনেকেই ক্যালকুলেটর ছাড়াই ছোটখাটো হিসাব কষে ফেলেন। তাদের ফোন নম্বর মুখস্থ থাকে। প্রচুর বই পড়ার কারণে তাদের সাধারণ জ্ঞানও সমৃদ্ধ।
তাদের এই অভ্যাসগুলো মস্তিষ্কের ব্যায়ামের মতো যা তাদের চিন্তাশক্তি ও স্মরণশক্তিকে দীর্ঘসময় শানিত রেখেছে।
কিন্তু এই যুগে আমাদের এতকিছু মনে রাখার প্রয়োজন হয় না। প্রযুক্তির উপর এই অতিরিক্ত নির্ভরশীলতার কারণে আমাদের ব্রেইনের নিজস্ব ক্ষমতা কমে গিয়েছে। স্মৃতি ও চিন্তাশক্তি দুর্বল হয়ে পড়েছে।
মস্তিষ্ক শাণিত করতে সবকিছু গুগল সার্চ না করে মনে রাখতে চেষ্টা করার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা।
৬. হেডফোন ব্যবহার, উচ্চ শব্দে জোরে গান শোনা
৭. একা একা থাকা, সামাজিক না হওয়া
৮. নেতিবাচক চিন্তা ও মানুষ
৯. অন্ধকারে সময় কাটানো
১০. খাদ্যাভ্যাস
১১. অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম
অত্যধিক স্ক্রিন টাইম মস্তিষ্কের আকার এবং বিকাশে ব্যাপক ক্ষতি করে। বেশি ক্ষতি হয় ফ্রন্টাল কর্টেক্সে, যা বয়ঃসন্ধিকাল থেকে ২৫ বছর বয়স পর্যন্ত পরিবর্তিত হয়।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে যেসব শিশু পর্দার সামনে দিনে সাত ঘণ্টার বেশি সময় কাটায় তাদের সেরিব্রাল কর্টেক্স পাতলা হয়ে গিয়েছেন।
কেননা মোবাইলের ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড থেকে যে বিকিরণ হয় তার সংস্পর্শে বেশি সময় থাকলে মাথাব্যথা, বিভ্রান্তি, মস্তিষ্কে টিউমারের মতো ক্ষতি হতে পারে।
এজন্য শিশুদের স্ক্রিনটাইম একদম কমিয়ে ফেলতে হবে। ফোন শরীরের কাছাকাছি রেখে ঘুমানো যাবে না।
ফোন পকেটে না রেখে ব্যাগে রাখুন। বেশি সময় কথা বলতে হলে ফোন কানে লাগিয়ে না রেখে স্পিকারে দিয়ে কথা বলতে পারেন। কথা বলার চেয়ে টেক্সট করা নিরাপদ।