সাধীন আলম হোসেন, নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের লালপুর উপজেলাধীন মোল্লাপাড়া চরে সেনাবাহিনীর টানা ১২ ঘন্টার অভিযানে অস্ত্র-গুলি ও মাদক সহ শীর্ষ সন্ত্রাসী খ্যাত তিনজনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।
বৃহস্পতিবার দিবাগত (১৭ জুলাই)ভোর পাঁচটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালনা করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পাবনা ও নাটোর ক্যাম্পের যৌথ একটি অভিযানীক দল।উক্ত অভিযানে আশরাফুল ইসলাম বাপ্পি(২৮),মেহফুজ হক সোহাগ(৩৯), রোকেয়া(৫৫), নামের তিনজনকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছে দেশি ও বিদেশী অস্ত্র ,গোলাবারুদ ও মাদক পাওয়া যায়।
জব্দকৃত আলামতঃ পাকিস্তানি রিভলভার (.২২ মিমি), ভারতীয় পিস্তল (৭.৬৫ মিমি), ডাবল ব্যারেল শাটার গান(১২ মিমি গেজ), ৩৯ রাউন্ড ৭.৬৫ মিমি বল অ্যামো, ৯ রাউন্ড .২২ মিমি বল অ্যামো, ১টি ৭.৬৫ মিমি এফসিসি, ১টি ১২ মিমি গেজ শট শেল এফসিসি, ৮৬টি ইয়াবা ট্যাবলেট, ১৭টি দেশীয় রামদা, ১টি ফোল্ডিং সুইস নাইফ, ৫ বোতল ফেন্সিডিল, ২টি গাঁজার গাছ, ৬ গ্রাম গাঁজা, মাদক সেবনের উপকরণ, নগদ ১২,৫৬,৩১২ টাকা, ৪টি অ্যান্ড্রয়েড ফোন, ৫টি বাটন ফোন, ১টি সেচ পাম্প, ১টি জেনারেটর,১টি ক্রেডিট কার্ড,১টি ড্রাইভিং লাইসেন্স,১টি এনআইডি কার্ড,১টি মানুষের খুলি,৩টি ইঞ্জিনচালিত নৌকা ও বিভিন্ন মহলে দেওয়া টাকার হিসাব নিকাশ পাতা স্থানীয় প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানা যায়।হিসাব নিকাশের পাতায় দেখা যায় ডিসি,সার্কেল,ওসি,থানা পুলিশ,নৌ-পুলিশ সহ তথাকথিত কিছু নামধারী সংবাদকর্মীরা এদের থেকে মাসোহারা নিয়েছেন।
সেনাবাহিনীর উক্ত অভিযানকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সুশীল সমাজ ও সাধারন জনগণ।
সাধারন জনগণের মাধ্যমে জানা গেছে, দীর্ঘদিন থেকে শীর্ষ সন্ত্রাসী কাকন গ্রুপের অত্যাচারে নিষ্পেশিত ছিল সাধারন জনগন। কৃষকদের মারধর করে ফসল কেড়ে নেওয়া, জেলেদের অস্ত্রের মুখে মাছ ছিনিয়ে নেয়া, প্রতিটি বালুবাহী নৌকা থেকে চাঁদাবাজি,চরে ত্রাস সৃষ্টি করা সহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অভিযোগ রয়েছে এই কাকন গ্রুপের বিরুদ্ধে। চাঁদাবাজি ও লুটপাটের টাকা ভাগাভাগি হতো কাকন গ্রুপ, আরআরপি ফিড মিল ও বিজলি মালিথা গ্রুপের মধ্যে। সেনাবাহিনী সংবাদকর্মীদের জানিয়েছেন,পদ্মার চরে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করা হয়েছে এবং তাদের কাছে থাকা দেশী – বিদেশী অস্ত্র, মাদক এবং জব্দকৃত সকল আলামত মালামালসহ আসামিদের স্থানীয় থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।