বগুড়ার শাজাহানপুরে আশা এনজিওর এক সিনিয়র লোন অফিসারকে ছুরিকাঘাত ও দস্যুতার ঘটনায় দায়ের করা মামলার পলাতক আসামি মোমিন হোসেন (২৭) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি শাজাহানপুর উপজেলার ফুলদিঘী উত্তরপাড়া গ্রামের মো. হারুনুর রশিদের ছেলে।
শাজাহানপুর থানার মামলার (নং-২৪, তারিখ ২৬ জুন ২০২৫, ধারা ৩৯৪ পেনাল কোড) সূত্রে জানা যায়, ১৬ জুন সকাল ৮টায় কিস্তি আদায়ের উদ্দেশ্যে মাঠে যান আশা এনজিও-এর বগুড়া-৩ ব্রাঞ্চের সিনিয়র লোন অফিসার মো. নুরুল ইসলাম (৪৫)।
তিনি কৈগাড়ী পূর্বপাড়া ও পশ্চিমপাড়া থেকে মোট ৯৪ হাজার ৪৬০ টাকা আদায় করেন। পরে ফুলদিঘী মধ্যপাড়ার দিকে যাওয়ার পথে কয়েকজন দুর্বৃত্ত তার পথরোধ করে ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে।
এ সময় বাধা দিলে আসামি মো. সাব্বির ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার পেটে আঘাত করে টাকা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।
পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ১৭ জুন ঢাকার বনানী বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে মূল হোতা মো. সাব্বিরকে গ্রেফতার করে। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ছিনতাইয়ের ৩২ হাজার টাকা, ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত ব্যাগ, মোবাইল ফোন ও নতুন কেনা কাপড়।
পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সেই দিনই অপর দুই অভিযুক্ত তোফাজ্জল হোসেন ও রফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এদিকে, ঘটনার পর থেকেই পলাতক থাকা অপর আসামি মোমিন হোসেনকে অবশেষে ১৩ আগস্ট রাত ১১টায় ফুলদিঘী পেপসি কোম্পানির সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়। শাজাহানপুর থানা পুলিশ জানায়, মোমিনের বিরুদ্ধে পূর্বেও একাধিক মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ২০১৬ সালের ১৭ জুন দায়েরকৃত একটি মামলায় তার বিরুদ্ধে মারামারি, হত্যাচেষ্টা, চাঁদাবাজি ও চুরির অভিযোগ মামলা রয়েছে ।
শাজাহানপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃত আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং মামলার অন্যান্য দিকগুলো তদন্তাধীন রয়েছে।