বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার ভাদাইকান্দি গ্রামে হত্যা মামলার আসামির লাইসেন্সধারী বন্দুক জব্দ না করায় উত্তেজিত গ্রামবাসী চার ঘণ্টা ধরে তিন পুলিশ সদস্যকে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে পুলিশ ওই বন্দুক জব্দ করতে গেলে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র।
জানা গেছে, গত ২৮ জুলাই জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে ভাদাইকান্দি গ্রামের আল-আমিন নামে এক যুবকের হাত-পা ভেঙে দেয় সন্ত্রাসীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাকালে গত ২ আগস্ট রাতে মৃত্যু হয় তার।
এ ঘটনায় আজ সোমবার সকালে অভিযুক্ত আতিকুর রহমানের বাড়িতে হামলা চালায় গ্রামবাসী। পরে শাজাহানপুর থানার এসআই আব্দুর রহিমসহ তিন পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে গেলে উত্তেজিত জনতা পুলিশকে ঘেরাও করে।
গ্রামবাসীর অভিযোগ, পুলিশের উপস্থিতিতে আসামির বাড়ির একনলা বন্দুক দেখা গেলেও তা জব্দ না করায় ক্ষোভ দেখা দেয়। সকাল ৮টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত চলে পুলিশের অবরুদ্ধ অবস্থা।
খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা কামাল অতিরিক্ত ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে আতিকুর রহমানের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একটি লাইসেন্স করা একনলা বন্দুক, একটি তাজা গুলি, ১৫টি ব্যবহৃত খোসা কার্তুজ এবং রামদা, ছুরি, চাইনিজ কুড়াল, হাসুয়া সহ প্রায় ৩০টি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ।
শাজাহানপুর থানার ওসি (তদন্ত) মাসুদ করিম জানান, অস্ত্র উদ্ধারের পর বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
এদিকে নিহত আল-আমিনের চাচা বাদী হয়ে শাজাহানপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।