
বগুড়ার শাজাহানপুরে বিদেশ যাওয়ার পাওনা টাকা ফেরত চাওয়াকে কেন্দ্র করে দালাল ও পাওনাদারের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের দুইজন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন—মিজানুর রহমান মতি (৫০) ও বাচ্চু মিয়া (৫৫)।
সোমবার দুপুরে উপজেলার গোহাইল ইউনিয়নের গোহাইল স্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত মিজানুর রহমান মতি শালিখা গ্রামের মৃত জামাল উদ্দিনের ছেলে এবং বাচ্চু মিয়া একই এলাকার মৃত নাজেমুদ্দিনের ছেলে। বর্তমানে মতি চিকিৎসাধীন আছেন বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে এবং বাচ্চু মিয়া শাজাহানপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আত্মীয়কে বিদেশ পাঠানোর জন্য মতি ছয় লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা দেন দালাল মেহেদী হাসান মুক্তার (৩৫)–এর হাতে। কিন্তু মুক্তার বিদেশে পাঠাতে ব্যর্থ হন এবং টাকা ফেরত না দেওয়ায় মঙ্গলবার দুপুরে গোহাইল স্ট্যান্ড এলাকায় তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে মতি ও তাঁর লোকজন মুক্তারের ওপর হামলা চালালে মুক্তার দৌড়ে গোহাইল ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়ে আশ্রয় নেন।
এ সময় কার্যালয়ে থাকা দলীয় নেতাকর্মীরা পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করলে মতির লোকজন তাঁদের ওপর চড়াও হয়। এতে বাচ্চু মিয়া আহত হন। পরে কার্যালয়ে থাকা নেতাকর্মীরা পাল্টা প্রতিরোধ করলে মিজানুর রহমান মতি গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
গোহাইল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল মান্নান বলেন, আমি বাচ্চুসহ কয়েকজন নেতা-কর্মী নিয়ে কার্যালয়ে বসে ছিলাম। হঠাৎ মুক্তার অফিসে ঢোকার কিছুক্ষণ পর মতি ও তাঁর আত্মীয়স্বজন ঢুকে মুক্তার ওপর হামলা করে। বাচ্চু তাদের শান্ত করতে গেলে তাকেও মারধর করা হয় এবং কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়। তবে মতিন কাজীর ওপর হামলার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান।
শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, পাওনা টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




