বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলার বগুড়া ঢাকা মহাসড়ক সংলঘ্ন মাঝিড়া সেনানিবাসের সেনাস্বরণী ষ্টেশন বোট ক্লাব লেকে ৩দিন ধরে নিখোঁজ এক যুবককের ভাসমান লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (২৯জুন) সকালে লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয় পথচারীরা সেনানিবাসের এমপিচেকপোষ্টে বিষয়টি জানান। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। লাশের শরীরে থাকা প্যান্টের পকেট থেকে পলিথিন দিয়ে মোড়ানো মানিব্যাগ পেয়েছে পুলিশ।
নিহত যুবকের নাম হাসিন রায়হান সৌমিক (৩০)। তিনি বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলা এলাকার কোহিনুর নূর মসজিদের পশ্চিম পাশে টাওয়ারে (বাসা নং- ৪/এইচ) বসবাস করা মোঃ তৌফিকুর রহমান ও আনজু মনোয়ারা দম্পতির ছেলে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার বিভিাগ থেকে সদ্য মাষ্টার্স পাশ করে বের হয়েছেন।
বগুড়া সদর থানায় খোঁজ নিয়ে জানাযায়, এদিকে গত শুক্রবার(২৭জুন) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সৌমিক নিখোঁজ হয় বলে ওই দিনই তাঁর পিতা বগুড়া সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি(নাম্বার ২১৫২) করেন। সেখানে ঘটনার বিবরণে উল্লেখ করেন, জলেশ্বরীতলা বাসা থেকে কাউকে কিছু না বলে সৌমিক বের হয়ে পায়ে হেঁটে যাতায়াতের সময় নিজের অজান্তে কোথাও পড়ে যায়। অনেক জায়গায় খোঁজা খুঁজি করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি, খোঁজা খুঁজি অব্যাহত আছে।
লাশ উত্তোলনে অংশ নেয়া উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য তাজুল ইসলাম সংবাদ বুলেটিনেকে বলেন, লেকের পানি কম ছিলো। সেখানে কোন যুবক পড়ে ডুবে যাওয়ার মত পানি নাই। পানিতে লাশ উপুর হয়ে ভাসছিলো। তাঁর প্যান্টের পকেট থেকে পলিথিনে মোড়ানো মানিব্যাগ পেয়েছি যা পুলিশকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
লেকের পাশের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত একজন সরকারি চাকুরিজীবি সংবাদ বুলেটিনকে বলেন, শনিবার(২৮জুন) সকালে এবং রাতে আমি ওই ছেলেকে লেকের পাশে দেখেছিলাম। সে ওখানে হাঁটছিলো এবং তালগাছের নিচে বসে ছিলো।
নিহতের পিতা মোঃ তৌফিকুর রহমান সংবাদ বুলেটিনকে বলেন, আমার ছেলেকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। একই ভবনের এক বাসিন্দার সাথে সম্প্রতি আমার ছেলের বিবাদ হয়েছিলো। এর জের ধরেই আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।
নিহতের পরিচয় এবং ডায়েরি বিষয় নিশ্চিৎ করে শাজাহানপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম সংবাদ বুলেটিনেকে বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নেয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন না পাওয়া গেলে মৃত্যুর কারন বলতে পারছি না। এ ঘটনায় থানায় ইউডি মামলা হবে। তদন্তের পর পরবর্তি আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।