
বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলায় শিক্ষকদের কর্মবিরতির কারণে উচ্চ বিদ্যালয় এবং সমমান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি খুবই কম। আর শিক্ষার্থী না থাকায় চলমান ট্রাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি লক্ষমাত্রা বাধাগ্রস্থ হয়েছে। মঙ্গলবার(১৪অক্টোবর) টিকা দেয়ার নির্ধারিত তারিখ ছিলো, উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো ঘুরে এই চিত্র পাওয়া গেছে। ১৩অক্টোবর থেকে শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালন করছেন। সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শাজাহানপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার শাহনাজ পারভীন।
উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের আড়িয়া রহিমাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ে টিকাদান কর্মসূচি তদারকি করছিলেন আড়িয়া ইউনিয়নের স্বাস্থ্য সহকারী পরিদর্শক রেজাউল করিম বকুল, স্বাস্থ্য সহকারী শারমিন আক্তার, পরিবার কল্যান সহকারী রেহেনা আক্তার সহ স্বেচ্ছাসেবীরা। আজকের পত্রিকাকে তাঁরা বলেন, আজ মঙ্গলবারের(১৪অক্টোবর) শুধু এই বিদ্যালয়েই ৩শত ৪৬জনকে টিকাদান নির্ধারিত ছিলো। কিন্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতির জন্য বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী উপস্থিতি কম থাকায় একশত ৫০জনকে টিকা দিতে পেরেছি।
আড়িয়া রহিমাবাদ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মোত্তালেব সংবাদ বুলেটিনকে বলেন, আমার বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ৩শত ৮৯জন শিক্ষার্থী রয়েছে। শিক্ষকরা কর্মবিরতিতে রয়েছেন। শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে এসে টিকা নেয়ার জন্য আগেই বলে দিয়েছিলাম।
একই অবস্থা দেখা যায় আমরুল ইউনিয়নের ফুলকোট নবোদয় কারিগরি উচ্চ বিদ্যালয়ে। সেখানে দায়িত্ব পালন করা স্বাস্থ্য সহকারী আমিনুল ইসলাম সংবাদ বুলেটিনকে বলেন, এই বদ্যালয় কেন্দ্রে লক্ষমাত্রা ছিলো ২শত ৩০জন। কিন্ত টিকা নিয়েছে একশত ১০জন শিক্ষার্থী। শিক্ষকদের কর্মবিরতির জন্য শিক্ষার্থীরা উপস্থিত হয়নি।
একই অবস্থা দেখা যায় কর্মবিরতিতে থাকা অন্যান্য টিকাদান কেন্দ্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতেও। তবে বেশ কিছু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যায় টিকা কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা স্বাস্থ্য সহকারীরা আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, লক্ষ মাত্রা অর্জণ স্বাভাবিক আছে।
জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহবুবুর হোসেন সংবাদ বুলেটিনকে বলেন, টিকার বিষয়ে আমরা টিকা কেন্দ্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোকে আগেই জানিয়ে দিয়েছিলাম। বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের কর্মবিরতির জন্য শিক্ষার্থী উপস্থিত কম হওয়ার বিষয়টি আমার জানা নাই।
জানতে চাইলে শাজাহানপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার শাহনাজ পারভীন সংবাদ বুলেটিনকে বলেন, উপজেলায় মোট ৩শত ৭৮টি টিকাদান কেন্দ্রের মাধ্যমে, ৯মাস থেকে ১৫বছর বয়সের ৮৮হাজার জনকে টিকাদান করার লক্ষমাত্রা রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, শিক্ষকদের কর্মবিরতির কারণে টিকা কেন্দ্র আছে এমন উচ্চবিদ্যালয় ও সমমান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোয় শিক্ষার্থী উপস্থিতি কম হয়েছ। এতে আমাদের লক্ষমাত্রা অর্জণ বাধাগ্রস্থ্য হয়েছে। বিষয়টি আমরা উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তাঁদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।