এফ.এম রিপন আহম্মেদ:
রতন স্মৃতি সংঘের আয়োজনে বগুড়া শাজাহানপুরের চোপীনগর গ্ৰামে ৩ দিন ব্যাপী (বুধবার , বৃহস্পতিবার, শুক্রবার) নানা বর্ণাঢ্য আয়োজনে পালিত হলো রতন স্মরণোৎসব ।
শাজাহানপুর উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও দক্ষিণ বগুড়ার উন্নয়নের ম্যাজিক ম্যান মরহুম ফজলুল হক রতন স্মৃতি স্বরণ করে। প্রতি বছর ন্যায় এবারও আলোচনা সভা, প্রীতি ভোজ, ফুটবল টুর্নামেন্ট, বাউল গানের আসর, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা,পিঠা উৎসবসহ ছিলো নানা আয়োজন। অনুষ্ঠানে ইউরোপ, আমেরিকা, সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশে বসবাসরত রতনের স্বজনরা অংশ নেন।
তাদের স্ববান্ধব উপস্থিতি পারিবারিক এই উৎসব যেন রূপ নেয় মহা মিলন মেলায়। অনুষ্ঠানে যোগদেন বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা এবং তার সহধর্মিণী, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, কোষাধ্যক্ষ শাহাদাত হোসেন, রতনের বড় ভাই ড. শহিদুল হক মুকুল, প্রকৌশলী সানাউল হক বকুল, রতনের সহধর্মিণী মিসেস শামীম আরা মুক্তা, ছোট ভাই সিরাজুল হক রিক্তা,
কানাডায় সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছে শাজাহানপুর থানা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। এছাড়াও মরহুম ফজলুল হক রতনের দুই সুযোগ্য সন্তান মেয়ে ফারহানা হক অন্তরা,মাস্টার্স ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, লন্ডনে একটা সরকারি প্রতিষ্ঠার কর্মরত। এবং শাহির হক উপল,মাস্টার্স ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, কানাডা । তারা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
রতন স্মৃতি সংঘের সভাপতি ও শাজাহানপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এনামুল হক শাহীন বলেন, মরহুম ফজলুল হক রতন ভাই, শুধু একজন জনপ্রিয় নেতাই ছিলেন না। অত্র এলাকায় উন্নয়নমূলক বিভিন্ন রাস্তাঘাট, ব্রীজ কালভার্ট সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণে অসামান্য অবদানের জন্য চির অমর হয়ে থাকবেন।
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম কাজীনুর বলেন, মরহুম ফজলুল হক রতন, আমাদের এলাকার একজন গুণীজন ছিলেন। নতুন প্রজন্মের কাছে তিনি আইডল হয়ে থাকবেন।
অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল পৌষ পিঠা উৎসব। নানা ধরনের গ্ৰামীণ পিঠা তৈরি ও খাওয়ার ধুম পড়ে।
আয়োজকরা জানান, শীতে পিঠা বাঙালির জীবন ও সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে এবং পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে তা ছড়িয়ে দিতে পিঠা উৎসবের আয়োজন।