সসাসের আয়োজনে দিনব্যাপী জাতীয় আবৃত্তি ও উপস্থাপনা কর্মশালা'২২ অনুষ্ঠিত।
"সুস্থ সংস্কৃতির নান্দনিক বিকাশ ও নৈতিকতা সমৃদ্ধ সমাজ" এই স্লোগানে সমন্বিত সাংস্কৃতিক সংসদ (সসাস) এর দিনব্যাপী আবৃত্তি ও উপস্থাপনা কর্মশালা'২২ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার রাজধানী ঢাকার একটি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন সসাসের নির্বাহী পরিচালক আবদুল্লাহ আল নোমান।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট কবি ও ছড়াকার আসাদ বিন হাফিজ, প্রধান আলোচক ছিলেন তরুণ গবেষক ও কলামিস্ট রাশেদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও বাচিক শিল্পী শরীফ বায়জিদ মাহমুদ, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মোস্তফা মনোয়ার।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি কবি আসাদ বিন হাফিজ বলেন, কবিতা আবৃত্তি একটি উন্নত শিল্প এবং প্রতিবাদের অন্যতম একটি ভাষা। আমাদের ইতোমধ্যে অনেক গুণী আবৃত্তিকার ও উপস্থাপক তৈরি হয়েছে কিন্তু সে হিসাবে আবৃত্তি সংগঠন গড়ে ওঠেনি। আজকে তোমরা যারা কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেছো আশা করি সবাই আবৃত্তি সংগঠন তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে এবং আবৃত্তির জন্য বিশ্বাসী কবিদের কবিতা নির্বাচন করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শরীফ বায়জিদ মাহমুদ বলেন, আবৃত্তি উপস্থাপনা বিষয়ে ক্যারিয়ার গড়ার সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে। এজন্য আপনাদের কে এ বিষয়ে অধিক যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। বাচিক শিল্পী ও উপস্থাপকের অনেক সংকট রয়েছে আশা করছি এধরনের প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম সেই সংকট কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করবে। প্রধান আলোচক রাশেদুল ইসলাম বলেন জীবন সংগ্রামে শত বাধা সত্ত্বেও আপনাদেরকে বিশ্বাসী কবিতা আবৃত্তি ও সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে তাওহীদের বাণী প্রচারে দৃঢ় থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, সসাস সংস্কৃতির যতগুলো মাধ্যম নিয়ে কাজ করে তারই একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ আবৃত্তি ও উপস্থাপনা। বরাবরের মতোই দেশব্যাপী বাচিক শিল্পী ও উপস্থাপক তৈরির লক্ষ্যে এই কর্মশালার আয়োজন করেছি সসাস। সুতরাং আপনারা কর্মশালায় যতটুকু শিখেছেন তা নিজে নিয়মিত অনুশীলন করতে হবে, একইসাথে সারাদেশব্যপী সুস্থ ধারার সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর আবৃত্তি ও উপস্থাপনা বিভাগকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে । নিয়মিত আবৃত্তি ও উপস্থাপনার ক্লাসগুলো চালু রাখতে হবে। তাহলেই আমাদের কর্মশালা স্বার্থক হবে ইনশাআল্লাহ।
সারাদেশ থেকে প্রায় শতাধিক আবৃত্তি ও উপস্থাপনা শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করেন এ্যাডভোকেট নাসিম আহমেদ,আহসান হাবিব খান,বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী মোস্তাগিছুর রহমান মুস্তাক ও বাচিক শিল্পী সৈয়দ আল জাবের।
কর্মশালাটি সঞ্চালনা করেন সহকারী নির্বাহী পরিচালক সাইদুল ইসলাম।
সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন তৌহিদুজ্জামান, মোশাররফ মুন্না, রাশেদুল ইসলাম, শাফায়াত খান, মাহ্দী হাসান, নাজমুস সাকিব, মিজানুর রহমান, ওয়াহেদুজ্জামান আহমেদ, ডি এম যুবায়ের ইসলাম, জাকির হোসাইন, মুরসালিন সরকার, তারিকুল ইসলাম, ইস্পাহানি সরকার।