৭ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২২শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
৭ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২২শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১৪ই রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের অনিয়ম-দুর্নীতি সহ নানা সংকট নিরাসনে মতবিনিময় সভা

spot_img

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:

সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের অনিয়ম-দুর্নীতি এবং চলমান সংকট নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আরএমও ডা. রফিকুল ইসলাম’র সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্র্যাট সমর কুমার পাল, ডেপুটি সিভিল সার্জন শুকদেব সাহা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী ওসমান গনি ও ইমনদ্দোজা ইমন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দ এবং আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারীরা।

বক্তব্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী ওসমান গনি বলেন, একটি ভিডিও’তে দেখেছি— কে বা কারা হাসপাতালে ভাংচুর করার চেষ্টা করেছে। স্বাধীন এই দেশে এটা কি করে হচ্ছে, সেটা দেখা দরকার। এদিকে আমাদের পক্ষ থেকে হাসপাতালে কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ থাকবে, আউটসোর্সিংয়ে যারা কাজ করেছেন তাদের বকেয়া বেতন দ্রুত পরিশোধ করার ব্যবস্থা করুন। আউটসোর্সিংয়ে পুন:নিয়োগ শতভাগ স্বচ্ছতার মধ্যে করতে হবে। পাশাপাশি হাসপাতালে যে সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে, যারা তাদেরকে নিয়োগ দিয়েছিল, ধলেশ্বরী নামের যে কোম্পানি রয়েছে, সেই কোম্পানির লোকদের জনসম্মুখে বা আমাদের ছাত্র সমাজের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে। আমরা একটা স্মারকলিপি দিয়েছিলাম। স্মারকলিপিতে হাসপাতালে এক বছরের ১৮ কোটি টাকার যে দুর্নীতি হয়েছে— সেই দুর্নীতির সাথে যারা জড়িত আছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা ছাত্র সমাজ যা যা করা দরকার, তা করব।

ডেপুটি সিভিল সার্জন শুকদেব সাহা বলেন, গত ৩০ শে জুন এর পর থেকে আউটসোর্সিংয়ে যারা কাজ করেছেন তাদের মেয়াদ শেষ হয়েছে। এরপর থেকে তারা আমাদের কর্মী নন। এটা আগে তাদেরকে বলেই কিন্তু নেওয়া হয়েছে। সরকার যদি আবার অনুমতি দেয়, সেক্ষেত্রে তারা অগ্রাধিকার পাবে। এছাড়াও আউটসোর্সিংয়ে যারা কাজ করেছেন তাদের কাজ করার অধিকার নেই।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সমর কুমার পাল বলেন, আজকে মতবিনিময় সভার বক্তব্যে বিভিন্ন জন বিভিন্ন ভাবে কথা বলেছেন। কেউ বলেছেন, আউটসোর্সিংয়ে যারা আগে ছিল তাদেরকে পুনর্বাসন করতে হবে। কেউ বলেছেন, তারা বিগত দিনে যেভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছে, সেটা খতিয়ে দেখা দরকার। সেখানে অনিয়ম হয়েছে, সেটা নিয়ে ভাবতে হবে। স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যারা আছে, তাদেরও দাবি রয়েছে। এদিকে আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগ প্রদানের যে বিধিমালা রয়েছে, সেটাও কিন্তু ভিন্ন। আউটসোর্সিংয়ে কমীর্ নিয়োগের জন্য একটা প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দিতে হয়। সেই প্রতিষ্ঠান ইচ্ছেমতো নিয়োগ দেবে। এই ক্ষেত্রে একটা সমস্যা এখানে হয়ে গেছে। এখানকার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দের পক্ষ থেকে প্রস্তাব এসেছে— একটা কমিটি করা হোক। তবে আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগ বিধিমালার কমিটি নয়। এটা স্থানীয়ভাবে কমিটি করা যেতে পারে। এই কমিটির নেতৃবৃন্দ বসে আলোচনা করে একটা সুষ্ঠু সমাধান বের করবে। বিগত দিনে আউটসোর্সিংয়ে যে ৬৪ জন কাজ করেছে, স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যে ৩০ জন কাজ করেছে, সবার পুন:নিয়োগ নাও হতে পারে। তাদের মধ্যে পরীক্ষার মাধ্যমে যোগ্যতার ভিত্তিতে যারা বের হয়ে আসবে, তাদেরকে নেওয়া যেতে পারে। এই বিষয় নিয়ে মন্ত্রণালয়ে কথা বলতে হবে। তবে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে লোক নেওয়া হবে।

সর্বাধিক জনপ্রিয়

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- বিজ্ঞাপন -spot_img

সর্বশেষ