এতদিন একটি গোষ্ঠী জামায়াতে ইসলামী আর হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রাচীর তুলতে চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ২৪ এর গণ অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে জামায়াত ও হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক ও যোগাযোগ বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বরিশাল অঞ্চল টিম সদস্য, ভোলা জেলার সাবেক আমির ও ভোলা-৪ (চরফ্যাশন-মনপুরা) আসনের জামায়াতের মনোনীত জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা মোস্তফা কামাল।
মঙ্গলবার শারদীয় দুর্গা পূজা উপলক্ষে চরফ্যাশন পৌরসভার ছয়টি পূজামণ্ডপ পরিদর্শন ও হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামীর নেতা কর্মীরা বাংলাদেশের কোথাও সনাতন ধর্মাবলম্বী ভাই বোনদের সাথে জুলুম করেছে, কিংবা তাদের জমি, ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান, বাড়িঘর দখল করেছে এমন একটি প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না।
শুধু রাজনৈতিক কারণে ঐ গোষ্ঠী তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য হিন্দু ভাই বোনদেরকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমাদের সম্পর্কে খারাপ ধারণা দিয়েছে। তাদের এই ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছে, এখন হিন্দু সম্প্রদায় বাস্তবে বুঝে জামায়াতে ইসলামীর কাছে নিজেদেরকে সবচেয়ে নিরাপদ মনে করছে ।
অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল আরো বলেন, জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশে কোন সংখ্যালঘু বা সংখ্যাগুরু নেই। আমরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক, আমরা বাংলাদেশী ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যক্ষ মীর শরীফ হোসেন, সেক্রেটারি মাওলানা আবুল কাশেম, সহকারী সেক্রেটারি এডভোকেট এনামুল হক রায়হান, মিডিয়া সম্পাদক অধ্যাপক রেজাউল হাসান এমরান, পৌর আমির অধ্যাপক মামুন আলম, যুব বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা জহিরুল ইসলাম, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উপজেলা সভাপতি মাহবুবুর রহমান, পূজা উদযাপন ফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।
এ সময় জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে মন্দিরে আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়। এদিকে জামায়াত নেতৃবৃন্দকে পূজামণ্ডপে পেয়ে মণ্ডপ পরিচালনা কমিটির সদস্যরা তাদেরকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।