৭ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২২শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
৭ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২২শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১৪ই রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশে হাসপাতাল বানাচ্ছে মার্কিন কোম্পানি

spot_img

দুই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশে হাসপাতাল বানাচ্ছে মার্কিন কোম্পানি বাংলা ইউএস এলএলসি। আগামি ২০২৬ সালের মধ্যে আন্তর্জাতিক মানের এ হাসপাতালটির নির্মাণকাজ শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

ঢাকায় চারদিনের বিনিয়োগ সম্মেলনে বাংলা ইউএস এলএলসি-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মুমতাজুর রহমান দাউদ এই বিনিয়োগ পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন।

পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল, নার্সিং বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিল্পকারখানা স্থাপন। ড. দাউদ জানান, এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা ও শিল্প খাতে নতুন মাত্রা যোগ হবে।

স্বাস্থ্যখাতে ১.৬ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে একটি আধুনিক হাসপাতাল কমপ্লেক্স এবং বিশেষায়িত নার্সিং বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে জানান ড. দাউদ।

তিনি বলেন, ‘আমাদের নার্সিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নার্সদের যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাঠানো হবে, যেখানে দক্ষ নার্সদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।’

আরও উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো- ট্রাফিক জট এড়াতে রোগী পরিবহণের জন্য হেলিকপ্টার সেবা চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।

চট্টগ্রামে ৬০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে একটি সার কারখানা নির্মাণের কথাও জানান ড. দাউদ। আমেরিকান বিনিয়োগকারী গ্রুপ ডিপি ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে যৌথভাবে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।

বিনিয়োগকারী গ্রুপে রয়েছেন-চেয়ারম্যান মিস্টার ফ্র্যাঙ্ক জাও, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের একজন বিলিয়নিয়ার উদ্যোক্তা হিসেবে সুপরিচিত। এছাড়াও দলটিতে আছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. স্যাম বেটেটা, যিনি ফিটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক গণিত বিভাগীয় প্রধান।

ড. দাউদ সরকারের পূর্ণ সমর্থনের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আমাদের এই উদ্যোগে পূর্ণ সহযোগিতা করছে। আমরা মনে করি, প্রধানমন্ত্রীর রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে এই প্রকল্পগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

তিনি আরও জানান, ২০২৩ সালের আগস্টে ক্যালিফোর্নিয়ায় অনুষ্ঠিত বোর্ড সভায় বাংলাদেশকে বিনিয়োগের জন্য বেছে নেওয়ার পেছনে তার ব্যক্তিগত ভূমিকা ছিল।

ড. দাউদের ভাষ্য অনুযায়ী, ‘আমি বোর্ড সদস্যদের বলেছিলাম, আমার জন্মভূমি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করুন এবং আমি সাফল্য নিশ্চিত করব’ এরপর তিনি দুই মাস বাংলাদেশে থেকে মাঠপর্যায়ের গবেষণা ও সরকারি পর্যায়ের আলোচনা সম্পন্ন করেন। তার এই অক্লান্ত পরিশ্রম ও দূরদর্শিতার ফলেই বিনিয়োগকারী গ্রুপ বাংলাদেশে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়।

২০২৬ সালের মধ্যে হাসপাতালের নির্মাণকাজ শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে বছরে ৫,০০০ প্রশিক্ষিত নার্স রপ্তানি এবং চট্টগ্রামের শিল্পাঞ্চলকে আঞ্চলিক হাব হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ড. দাউদ তার স্বপ্নের কথা শেয়ার করতে গিয়ে বলেন, ‘এটি শুধু একটি বিনিয়োগ নয়, এটি আমার ১৫ বছরের স্বপ্নের বাস্তবায়ন। আল্লাহর ইচ্ছায় আমরা বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও শিল্প খাতে নতুন ইতিহাস লিখতে যাচ্ছি।’

সর্বাধিক জনপ্রিয়

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- বিজ্ঞাপন -spot_img

সর্বশেষ