৩০ সিটও পাবে না তাই নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি’
আওয়ামী লীগ ৩০ সিটের বেশি পাবে না– বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন রেখে বলেছেন, প্রমাণ করবেন কীভাবে? নির্বাচনে আসেন, জনগণ ভোট দেবে। মনে কি নেই ২০০৮ সালে নির্বাচনের কথা? বেগম খালেদা জিয়া যে বলেছিলেন আওয়ামী লীগ ৩০টা আসনও পাবে না, মনে আছে? মির্জা ফখরুলের দেশনেত্রী এই কথা কি বলেননি? পরে দেখা গেল ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি ২৯ এর সঙ্গে এক, ৩০টি আসন তারা পেয়েছিল। এখন আবার সেই পুরোনো দম্ভোক্তি তারা করে যাচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি। আগামী ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন উপলক্ষে মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদাহ ও যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং স্থানীয় দলীয় সংসদ সদস্য, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আগামী জাতীয় নির্বাচনে ৩০ পাবে না বলে মনে করেই বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, নিজেরাই ৩০ আসন পায় কিনা দেখুক। দিন যতই যাচ্ছে তারা জন বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। পাবলিক খায় না। পাবলিক যদি না খায় ওই আন্দোলনের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। সেই আন্দোলনের ডাক দেওয়া যাবে, ঢেউ আসবে না। ডাক দেওয়া যাবে, জোয়ার আসবে না। এখন পর্যন্ত আসেনি। ভবিষ্যতেও আসার সম্ভাবনা নেই। মরুভূমিতে বৃষ্টি ঝরানোর চেষ্টা করছে, লাভ নাই। আপনাদের অঙ্গন মরুভূমি হয়ে গেছে।
সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির ঘোমটা পরা প্রার্থী দেওয়া ‘ভণ্ডামি’ বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সিটি নির্বাচনে আমরা তাদের আমন্ত্রণ করছি না। নির্বাচন অংশগ্রহণ করা তাদের অধিকার। জাতীয় নির্বাচনে যেমন, সিটি নির্বাচনেও তেমন। আমরা লক্ষ্য করেছি যে, বিভিন্ন পৌরসভা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে নির্বাচনে বিএনপির ধানের শিষ ছিল না, কিন্তু ঘোমটা পরে সব খানেই তাদের প্রার্থী ছিল।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, উপপ্রচার সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম, উপদফতর সম্পাদক সায়েম খানসহ খুলনা বিভাগীয় বিভিন্ন জেলার নেতারা।