
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে টানা ৪০ দিন জামায়াতে নামাজ পড়ে উপহার পেয়েছে ১৪৮ শিশু ও কিশোর। শুক্রবার কুলাসার একতা সংঘের আয়োজনে ও প্রবাসী কল্যাণের সার্বিক সহযোগিতায় জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উপহার তুলে দেন প্রধান অতিথি বায়োফার্মা লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. লকিয়ত উল্লা। এরমধ্যে ৮ জনকে বাইসাইকেল ও ১৪০ জনকে ব্যাগ ও খাতা-কলম দেয়া হয়।
আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক মজিবুল ইসলাম বলেন, শিশু-কিশোরদের মসজিদমুখী করতে আলকরা ইউনিয়নের কুলাসার গ্রামের ৮ টি মসজিদে ১০ থেকে ২০ বছর বয়সীদের মধ্যে টানা ৪০দিন জামায়াতে নামাজ পড়ার প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
এতে ২০০ জন শিশু-কিশোর নামাজ আদায় শুরু করে। চূড়ান্ত পর্বে ৮জন বিজয়ী হয়ে বাইসাইকেল পুরস্কার অর্জন করে। ১০ প্রতিযোগী ৪০ দিনে মাত্র ১ ওয়াক্ত নামাজে অনুপস্থিত ছিল, তাদের জন্য অন্য উপহারের ব্যবস্থা করেছি। এ ধরনের আরও ধর্মীয় প্রতিযোগিতা ভবিষ্যতে অব্যাহত রাখা হবে।
কুলাসার মাদ্রাসা মাঠে মাওলানা কাজী মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে ও আলাউদ্দিন মিশাদের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ডা. লকিয়ত উল্লা ছাড়াও বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক সৈয়দ একরামুল হক হারুন, ফুলগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ গোলাম কিবরিয়া টিপু, সাবেক প্রফেসর মোস্তফা কামাল, আলকরা ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাওলানা কুতুব উদ্দিন, বিশিষ্ট সাংবাদিক এএফএম রাসেল পাটোয়ারী, সাবেক ছাত্রনেতা জাহিদুল হক ভূঁইয়া, শিবির পশ্চিম শাখা সভাপতি আবুল জাফর রাফি, পূর্ব শাখার সভাপতি মো. বায়েজীদ।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাস্টার খাজা মাইনুদ্দিন সবুজ, ধোপাখিলা উচ্চ বিদ্যালয় এর সাবেক সহকারি প্রধান শিক্ষক জাফর আহমেদ ভূঁইয়া, আব্দুল হক, আবু সায়েমসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
স্থানীয়রা জানান, গ্রামের শিশুরা যাতে মসজিদমুখী হয়, নামাজের গুরুত্ব বোঝে এবং আল্লাহর হুকুম-আহকামসহ সমাজের পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ববোধ প্রতিষ্ঠা করতে পারে সেজন্য এ আয়োজন। প্রতিযোগিতায় শর্ত ছিল স্থানীয় শিশু-কিশোরদের ওই মসজিদে জামায়াতের সঙ্গে টানা ৪০ দিন ধারাবাহিকভাবে নামাজ আদায় করতে হবে। প্রতি ওয়াক্তে ইমাম তাদের হাজিরা গণনা করবেন।
কুলাসার পুরাতন জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আবুল হোসেন বলেন, এ প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করে মসজিদে ভরপুর মুসল্লির উপস্থিতি ছিল। প্রতিযোগীদের সঙ্গে তাদের অভিভাবকরাও নামাজ পড়তে আসতেন। বিজয়ী শিশুর মতো সমাজের আরও শিশুদেরকে প্রকৃত নামাজি ও চরিত্র গঠনের জন্য ভবিষ্যতে আরও উদ্যোগ নেয়া হবে।