
সম্প্রতি একটি টেলিভিশন টকশোতে অংশ নিয়ে ফজলুর রহমান বলেন, ৫ আগস্টের আন্দোলন পরিচালনায় সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। তিনি দাবি করেন, এই সংগঠন দীর্ঘদিন ধরে দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করার জন্য ষড়যন্ত্র করে আসছে।
তার ভাষায়, যারা ৫ আগস্টের ঘটনার জন্য দায়ী, তারা কোনো রাজনৈতিক নেতা নয়, তারা কেবল অভিনেতা। দেশের মানুষ এখন বুঝে ফেলেছে, এরা রাজাকারের বংশধর। তারা অর্থ-বিত্ত দিয়ে তরুণ সমাজকে প্রলুব্ধ করছে।
তিনি বলেন, যদি একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, তবে বিএনপি দুই-তৃতীয়াংশ আসন নিয়ে ক্ষমতায় ফিরবে, এটাই দেশের জনগণের ইচ্ছা।
তিনি অভিযোগ করেন, জামায়াতের সাংগঠনিক শক্তি, অর্থ-বিত্ত এবং আন্তর্জাতিক সংযোগ আজ এতটাই বিস্তৃত হয়েছে যে, তারা দেশের প্রশাসনেও প্রভাব বিস্তার করছে। ‘তার ভাষায়, এখন এসিল্যান্ড থেকে ইউএনও, ওসি থেকে এসপি, ডিসি থেকে সচিব—সবখানে তাদের ছায়া পড়েছে। এমনকি ব্যাংক, শেয়ারবাজার, হাসপাতাল, বিশ্ববিদ্যালয় ও ছাত্রসংগঠন—সবখানেই তারা সক্রিয়।
ভোটের রাজনীতিতে জামায়াতের জনভিত্তি উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের জনপ্রিয়তা একসময় ৭ শতাংশ ছিল, এখন আরও কমে গেছে। তাই আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতায় আসার কোনো সুযোগ নেই। তবে তারা নিজেদের ছায়া-ক্ষমতাধর মনে করছে।
ফজলুর রহমান বলেন, বিএনপিকে দুর্বল করার উদ্দেশ্যে জামায়াত ও তাদের সহযোগীরা নির্বাচন নিয়ে ‘ভুল বোঝাবুঝি’র ফাঁদ তৈরি করছে। তারা ভোটে আসতে চায় না, শুধু বিএনপিকে ধ্বংস করাই তাদের লক্ষ্য, বলেন তিনি।
তার মতে, জামায়াতের বর্তমান তৎপরতা শুধুই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র নয়, বরং এটি দেশের গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ওপর সরাসরি আঘাত। তিনি বলেন, তরুণ সমাজকে সতর্ক থাকতে হবে। টাকার লোভে পড়ে যেন কেউ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে না দেয়।
ফজলুর রহমান জানান, বিএনপি দেশবাসীর আস্থার প্রতীক। তিনি মনে করেন, জনগণ জানে কারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি, আর কারা দেশের ভবিষ্যতের জন্য হুমকি।