বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার আতাইল ফাযিল স্নাতক মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবদুল মালেককে লাঞ্ছিত করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা। গত রোববার (৪ মে) গভর্নিং বডির বিষয়ে আয়োজিত এক বৈঠকে এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগ রয়েছে, মাদরাসার সভাপতি ও উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শহীদুল ইসলামের উপস্থিতিতেই এ হামলা হয়।
এ ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার (৬ মে) মাদরাসা মাঠে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নতুন গভর্নিং বডি গঠনের সময় অধ্যক্ষ আবদুল মালেক কর্তৃক গোপনে কিছু নাম সুপারিশ করে কমিটি গঠন করা হয়। এতে স্থানীয় শিক্ষানুরাগী ও সুশীল সমাজের অনেকেই বাদ পড়েন। অভিযোগ রয়েছে, অধ্যক্ষের প্রভাবেই শহীদুল ইসলামকে সভাপতি করে তার অনুগত ব্যক্তিদের দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়। বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসী এবং স্থানীয় জামায়াত নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
ঘটনার দিন আয়োজিত মিটিংয়ে অধ্যক্ষ, সভাপতি শহীদুল ইসলাম, কমিটির সদস্য ও জামায়াত নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে জামায়াত নেতা সামছুর রহমান ও জাহাঙ্গীর আলমসহ কয়েকজন অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করেন বলে সাংবাদিকদের জানান প্রতিষ্ঠানটির সাবেক অধ্যক্ষ আলহাজ আশরাফ আলী।
অধ্যক্ষ মাওলানা আবদুল মালেক মুঠোফোনে সংবাদ বুলেটিনকে বলেন, “মিটিং চলাকালে আমাকে অতর্কিতভাবে হামলা করা হয়। পরে বিষয়টি ক্ষমা চাওয়ার মধ্যে দিয়ে স্থানীয়ভাবে মীমাংসা হয়েছে। এ ব্যাপারে আমার আর কিছু বলার নেই।"
অন্যদিকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে, মাদরাসার নবাগত সভাপতি, মাওলানা শহীদুল ইসলাম সংবাদ বুলেটিনকে মুঠোফোনে জানান, “মিটিংয়ে সামান্য ঝামেলা হয়েছিল। পরে সবাই বসে মীমাংসা করা হয়েছে।”
তবে ঘটনাটি নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। মানববন্ধনে অংশ নেওয়া বক্তারা বলেন, “কমিটির সভাপতির উপস্থিতিতে অধ্যক্ষের ওপর হামলার ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। বর্তমান কমিটি প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করছে। তাদের দ্বারা মাদরাসা পরিচালনা সম্ভব নয়।”
মানববন্ধনে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি, অভিভাবক ও সাধারণ জনগণ অংশ নেন এবং দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।