শেরপুর বগুড়া প্রতিনিধি:
রাজাবাবু’! এটি কোনো সিনেমার নাম নয়। বরং এটি বিশালদেহী সাদা-কালো রঙের একটি ষাঁড়ের নাম। ষাঁড়টির ওজন ২০ মণ। এটির মালিক বগুড়ার শেরপুর উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের মহিপুর বুড়িতলা গ্রামের মো. আব্দুল কুদ্দুস।
ইতিমধ্যে, বিশাল আকৃতির এই গরুটি দর্শনার্থীদের নজর কেড়েছে। কোরবানির হাটে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা এই ‘রাজাবাবু’র দাম হাঁকা হচ্ছে ৪ লাখ টাকা। সাদা-কালো রঙ, বিশাল আকার আর নবাবী আচরণে ইতোমধ্যেই এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে গরুটি। ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি উচ্চতা ও ৭ ফুট ১০ ইঞ্চি লম্বা দেহের এই গরুটি শুধু আকারেই নয়, এই গরু লালন-পালন ও পরিচর্যার পেছনের গল্পটিও চমকপ্রদ।
৮০০ কেজি ওজনের এই ষাঁড়টি হলস্টেইন ফ্রিজিয়ান (অস্ট্রেলিয়ান জাতের) গরু। বিশেষ তথ্য হলো রাজাবাবুর মা একবারে ৩২ লিটার দুধ দিত। আর এই জাতের গরুর দুধের পাশাপাশি মাংসেরও রয়েছে আলাদা কদর। প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে দীর্ঘ সাড়ে ৩ বছর ধরে লালন-পালন করা হয়েছে। গরুটিকে পালন করতে দিনে রাতে সমান যত্ন নিতে হয়। দিনে এক থেকে দুইবার গোসল করানো হয় তাকে।
গরুর মালিক মো. আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে মো. আহসান হাবীব বলেন, ছোটবেলা থেকেই ‘রাজাবাবু’ আমাদের পরিবারের প্রিয় সদস্য। শুরু থেকেই কোনো রকম কৃত্রিম মোটাতাজাকরণ ইনজেকশন বা ফিড ব্যবহার না করে প্রাকৃতিক খাদ্য দিয়েই বড় করা হয়েছে। গরুটিকে প্রতিদিন খাওয়ানো হয় নিজ জমিতে উৎপাদিত ঘাস, খড়, গম ও ভুট্টা মিশিয়ে তৈরি করা বিশেষ খাবার। ফলে গরুটি যেমন সুস্থ রয়েছে, তেমনি আকৃতিতেও হয়েছে চমকপ্রদ। গরুটি এখন বিক্রির জন্য প্রস্তুত। আশপাশের এলাকা থেকে প্রতিদিন অনেক মানুষ গরুটিকে দেখতে আসেন; অনেকেই এর বিশালতা দেখে বিস্মিত হন।
এ বিষয়ে শেরপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নিয়ায কাযমীর রহমান বলেন, এ বছর বিদেশি পশু আমদানি না হওয়ায় স্থানীয় খামারিরা ভালো দাম পাবেন বলে আশা করছি। হাটগুলোতে চিকিৎসা সহায়তা দিতে আমাদের টিম প্রস্তুত রয়েছে। খামারিরা যেন নিরাপদে হাটে গিয়ে পশু বিক্রি করতে পারেন এবং ক্রেতারা যেন তাদের সাধ্যের মধ্যে পছন্দের পশু কিনতে পারেন সেই বিষয়েও নজর রাখার অনুরোধ জানিয়েছি সংশ্লিষ্টদের।