সারিয়াকন্দিতে ঝড়-ঝঞ্ঝাট শ্রমিক সংকটের শঙ্কা নিয়ে ইরি ধান কাটামাড়াই শুরু
(বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে চলতি মৌসুমে ইরি-বোরো ধানের ফলন ভালো হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূল ও চাষীদের হারভাংগা পরিশ্রমের কারনে ফলন ভালো হওয়ায় মূল কারন জানিয়েছেন ইরি-বোরো চাষীরা। তবে এবার ধান কাটা-মাড়াইয়ের শ্রমিক সংকটের পাশাপাশি, অনেকেই বৈশাখী ঝড়-ঝঞ্ঝাটের আশংক্সখা করছেন ইরি-বোরো চাষীরা। তবে এসব মাথায় নিয়ে এরই মধ্যে ধান কাটা-মাড়াই শুরু করা হয়েছে। শ্রমিক সংকট মোকাবেলায় উপজেলায় ১৭টি হারভেস্টার মেশিন প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস ও স্থানীয় চাষীরা জানিয়েছেন, গত মাঘ মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে ইরি-বোরো ধান রোপন শুরু করেছিলেন চাষীরা। প্রথম থেকেই আবহাওয়া ভালো ছিল। তাছাড়াও চাষীদের হাড়ভাংগা পরিশ্রমের কারনে এই মৌসুমে ইরি-বোরো ধানের ফসলের মাঠে ভালো ফলন আশা করছেন চাষীরা। প্রতিটি জমিতে থোকা থোকা সোনালী ধানের গাঁথুনিতে শীষ ছেয়ে গেছে। এ ধানের শীষ দেখে মনে খুুশির দোলা দোল খাচ্ছে। চাষীরা বলছেন, তারা এবার বি আর-৮৯, ৮১, ২৯, ২৮ জাতের ধান বেশী চাষ করছেন। উফশী জাতের ধান চাষ করে জমি থেকে আশানুরুপ ফলন আশা করছেন চাষীরা। এরই মধ্যে উপজেলার বিভিন্ন ফসলের মাঠে ধান কাটা মাড়াই শুরু হয়েছে। এবার এই উপজেলায় ১২ ইউনিয়নে প্রায় ১৪ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে এ ধান লাগানো হয়েছিল। উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের ফুলবাড়ি গাবতলাপাড়া গ্রামের চাষী শাহাজান আলী সাজু বলেন, আমি এই মৌসুমে ৫বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি। তাতে বি আর-১২০৩, ৮৯ ও হীরা ১৯ জাতের ধান রয়েছে। ধানের ফলনও ভালো হয়েছে। কারন সময় মতো সার ও কীটনাশক ব্যবহার করায় ফসল ঠিক রয়েছে। বৃষ্ঠিপাত, ও বাতাস না হওয়ায ধান গাছের কোন ক্ষতি হয়নি। যার কারনে আমরা ফসলের ভালো ফলন আশা করছি।
নারচী ইউনিয়নের চর হরিণা গ্রামের চাষী ছাবজল প্রামানিক বলেন, এ পযন্ত ফসলের অবস্থা ভালো রয়েছে। তবে সামনে বৈশাখি ঝড়-ঝঞ্ঝাটের আশঙ্কা রয়েছে। কারন সামনের দিনে ঝড়-ঝঞ্ঝাট ছাড়াও ধান কাটামাড়াইয়ের শ্রমিকের সংকটের সম্ভবনা রয়েছে। অধিক পরিমান টাকা দিয়েও ধান কাটার শ্রমিক পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়তে পারে।
উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল হালিম বলেন, এখন রোদের তাপ একটু বেশি। তবে ক্ষতিকারক বাতাস নেই আবহওয়াই। জমিতে এক ইঞ্চি পরিমান পানি বেধে রাখলে ভালো ফলনের আশা করা সম্ভব। এছাড়াও কাটামাড়াই শ্রমিক সংকট মোকাবেলায় আমরা ১৭টি হারভেস্টার মেশিন প্রস্তুত । এসব মেশিন ঘন্টায় ৩ বিঘা জমির ধান কাটা-মাড়াই ছাড়াও বস্তা জাত করা সম্ভব।
ক্যাপশনঃ ধান কাটছেন ছাগলধরা গ্রামের চতল বিল মাঠে ইমারত আলী।