৭ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২২শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
৭ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২২শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১৪ই রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

কালে কালে প্রতি কারবালার পরে ইসলাম জেগে ওঠে বারে বারে!

spot_img

 

 

আমাদের শরীরের কোন অঙ্গে জখম হয়েছে, আর আমরা তার খোঁজ রাখি না,শুশ্রূষা করি না- এমনটাও কি কখনো সম্ভব? কিন্তু আমরা তা সম্ভব করে নিয়েছি। আজ মুসলিম জাহানের মানচিত্র ভাসছে সান্ত্বনাশূন্য অশ্রু আর রক্তের তীব্র স্রোতে। মিডিয়া ও পত্রিকার পাতা ওল্টালে চোখের সামনে জ্বলজ্বল করে মুসলিমদের নির্যাতনের চিত্র, তবু আমরা নির্বিকার।

শহীদের রক্তে মুসলিম জনপদগুলো বারবার ভিজে গেলেও আমরা বিজয়কে আলিঙ্গন করতে পারছি না। বরং মিল্লাতের সম্মিলিত তাসবিহকে ছিন্নভিন্ন করে দানাগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিয়ে আমরা পরস্পরের প্রতিপক্ষ হয়ে বসে আছি। শাশ্বত দীনের দাবিকে পদদলিত করে কামনার দাবিকে আমামা বানিয়ে আমরা বেঈমানের কাছে ধরনা দিচ্ছি, লাঞ্ছিত হচ্ছি এবং প্রতিনিয়ত খর্ব হয়ে চলেছি।

কিন্তু মুসলিম জাতির ইতিহাসের শিক্ষা তো এটা ছিলো না। ইতিহাস শিখিয়েছিল, ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে কীভাবে বারবার গজিয়ে ওঠে ইসলামের চারা। তমসাচ্ছন্ন মৃত্যুর উপত্যকায়ও ইসলাম বেঁচে থাকে আপন মহিমায়। কারণ, ধ্বংস হওয়ার মতো ধর্ম আর অনুসারী ইসলামের নয়। ইসলাম যেমন শাশ্বত, তেমনি চিরন্তন এর বাহকেরা। আল্লাহ তাঁর দীনের আলোকে পরিপূর্ণ করবেন, যদিও কাফেররা তা অপছন্দ করে। ইতিহাস সাক্ষী, তাতারীদের বর্বর হামলায় মুসলিমজাহান যখন রক্তের সাগরে ডুবে গিয়েছিলো, সেই সাগরে ভেসে ভেসেই ইসলাম আবারও পৌঁছে গেছে জীবনের বন্দরে। নতুন করে আবার জেগে ওঠেছে মুসলিম জাহান। আবারও সভ্যতা গড়ে তুলেছে

ইসলাম। এভাবেই। যুগে যুগে মৃত্যুর অমানিশায় জীবনের মিছিল। নিয়ে হাজির হয়েছে ইসলাম। এই উম্মাহ চিরন্তন উম্মাহ। এই উম্মাহর টিকে থাকার ওপর নির্ভর করে ধরণীর ভবিষ্যৎ। কে ভয় দেখাতে চায় এই উম্মাহকে? কে বলে উচ্ছেদ করবে তাদের সমূলে? সে উন্মাদ। কোনো উন্মাদের প্রলাপ শোনা আমাদের কাজ নয়। আমাদের অস্তিত্বে নিখিল মানবতা, আমাদের চেতনায় মুহাম্মাদী নবুওয়ত, আমাদের অঙ্গীকারে গোটা জাহানের আমানত, আমাদের দায়িত্ব তাই জগতের খেলাফত। মহান সেই দায়িত্বে পালনের আগে একটি মুহূর্তের জন্যও আমরা থামতে চাই না। জীবনের অভিযাত্রায় মানুষের মহিমার উজ্জ্বল মিনারে খায়রুল কুরুনের আযান হাঁকার আগে আমরা বিরতির কোন নিঃশ্বাস নেব না। তাবৎ নিপীড়িত মুসলমানের বিজয়ের মুজদা না শুনে আমরা ক্ষান্ত হবো না। শাইখ ওসমা বিন লাদেনের হুংকারে পশ্চিম ইহুদিদের আতঙ্কে কাঁপানো যে মুজদা আমরা শুনছি, এর ধারাবাহিকতাময়। মহীর তাবৎ দখলদার, সাম্রাজ্যবাদী শক্তির কবর রচনা করে ইনসাফ ও আদালাত প্রতিষ্ঠা পর্যন্ত আমাদের দায়িত্বও ক্ষান্ত হবে না।

✍লেখক- জাহেদুল ইসলাম আল রাইয়ান

শিক্ষার্থী,আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়, কায়রো, মিশর।

সর্বাধিক জনপ্রিয়

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- বিজ্ঞাপন -spot_img

সর্বশেষ