৭ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২২শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
৭ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২২শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১৪ই রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

শাহজাদপুরে ব্রি ধান ১০২, বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে

spot_img

মো: মোসলেম উদ্দিন সিরাজী, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :

‎শাহজাদপুরে চলতি বোরো মৌসুমে নতুন সম্ভাবনাময় জাত ব্রি ধান ১০২ আবাদ করে বাম্পার ফলন পেয়েছে কৃষকেরা। কম সময়ে আবাদ করে ফলন ভালো পাওয়ায় এলাকার কৃষকেরা ব্রি ধান ১০২ চাষে ক্রমশ আগ্রহী হয়ে উঠছেন। বীজতলা থেকে শুরু করে ১৫০ দিনের মধ্যেই এই ধান কেটে ঘরে তুলছেন তারা। অন্যদিকে ব্রি ধান ১০২ চাষ করে প্রতি বিঘা জমিতে ২৮ থেকে ৩২ মণ ধান পাওয়া যাচ্ছে বলে কৃষকেরা জানান। স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্র জানা গেছে, চলতি বছরের বোরো মৌসুমে উপজেলার পৌরসভার সহ কায়েমপুর, রূপবাটি, পোরজনা ও হাবিবুল্লাহনগর ইউনিয়নে বিধান ১০২ আবাদ করা হয়েছে। ব্রি ধান ১০২ এর জীবনকাল ব্রি ধান ২৯ এর চেয়ে কম এবং ফলন বেশি। পূর্ণবয়স্ক ব্রি ধানের গাছের উচ্চতা প্রায় ১০৩ সেন্টিমিটার। এই ধানের চালের আকৃতি লম্বা, চিকন ও সাদা। এই ধানের চাল জিংক সমৃদ্ধ। প্রতি কেজি চালে জিংকের পরিমাণ ২৫.৫ মিলিগ্রাম। প্রতি হেক্টর জমিতে ব্রি ধান ১০২ এর গড় ফলন ৮.১০ মেট্রিক টন। তবে যত্ন সহকারে চাষ করলে প্রতি হেক্টর জমিতে ৯.৬০ মেট্রিক টন ধান পাওয়া যায়। যা ব্রি রধান ২৯ এর চাইতে বেশি। সে হিসেবে প্রতিবিঘা জমিতে ব্রি ধান ১০২ চাষ করে কৃষকেরা সর্বনিম্ন ২৮ মন থেকে সর্বোচ্চ ৩২ মন পর্যন্ত ধান পেয়েছেন। তদুপরি ব্রিধান ১০২ আবাদ করা জমিতে পোকামাকড়ের আক্রমণ তুলনামূলক অনেক কম।
‎উপজেলার শ্রীফলতলা গ্রামের কৃষ্ণন শয়াহিয়া জানান, কৃষি অধিসের পরামর্শে তিনি চলতি বছর ৩ বিঘা জমিতে ব্রি ধান ১০২ আবাদ করেছিলেন। জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকে চারা রোপণ করে এখন ধান কাটছেন। তিন বিঘা জমিতে তিনি ৯৬ মন ধান পেয়েছেন। বিন্নাদাইর গ্রামের কৃষক আব্দুল হক বলেন, দুই বিঘা জমিতে ব্রিধান ১০২ আবাদ করে তিনি ৫৬ মণ ধান পেয়েছেন। অন্যদিকে চিথুলিয়া গ্রামের কৃষক আনিসুর রহমান জানালেন, তিনি দুই বিঘা জমিতে এই ধান চাষ করে ৫৮ মন ধান পেয়েছেন। এ বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ জেরিন আহমেদ জানান, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে শাহজাদপুর উপজেলায় ২২০ হেক্টর জমিতে প্রায় ৩৫০ জন কৃষক ব্রি ধান ১০২ চাষ করেছেন। ব্রি ধান- ২৯ এর বিকল্প হিসেবে নতুন সম্ভাবনাময় ব্রি ধান ১০২ চাষ করা হচ্ছে। এ ধানের জীবনকাল ১৫০ দিন, যা ব্রি ধান-২৯ এর চেয়ে কম। হেক্টর প্রতি ফলনও বেশি। যেহেতু ব্রি ধান ২৯ এ পোকার আক্রমণ বেশি হয় এবং ফলন কমে যায়। তাই উপজেলায় ব্রি ধান ১০২ আবাদের প্রতি কৃষকদের আগ্রহ তৈরিতে সম্ভব হয়েছে। তদুপরি প্রতি হেক্টর জমিতে এই ধানের গড় ফলনের চাইতেও বেশি ফলন হয়েছে । আগামী মৌসুমে এই জাতের ধান চাষ আরো বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি আরও জানান ব্রি ধান ১০২ আবাদে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে কৃষকদের সর্বাত্মক সাহায্য ও সহযোগিতা করা হচ্ছে যা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

সর্বাধিক জনপ্রিয়

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- বিজ্ঞাপন -spot_img

সর্বশেষ