
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার শাহানগর এলাকার ফারুক নার্সারির বিরুদ্ধে নিম্নমানের মরিচ চারা বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। তবে নার্সারির মালিক ফারুক হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, ব্যক্তিগত স্বার্থে তার নার্সারির সুনাম নষ্ট করতে মিথ্যা অভিযোগ ছড়ানো হচ্ছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জামালপুর সদর উপজেলার কম্পপুর নয়াপাড়া গ্রামের কৃষক সোরহাব আলী (৫৮) গত ১৪ সেপ্টেম্বর শাহানগরের ফারুক নার্সারি থেকে কারিশমা জাতের প্রায় ১৫ হাজার মরিচ চারা ক্রয় করেন। জমিতে রোপণের সাত দিনের মধ্যেই চারাগুলোতে অস্বাভাবিকভাবে ফুলের কুঁড়ি আসতে শুরু করে। এতে তিনি বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছেন দাবি করে শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এ বিষয়ে ফারুক নার্সারির মালিক ফারুক হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমার নার্সারিতে উন্নতমানের চারা উৎপাদন হয়। কৃষকের চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করি। কিছু অসাধু মহল ব্যক্তিগত স্বার্থে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার সুনাম নষ্ট করছে। অভিযোগের যেসব চারার কথা বলা হচ্ছে সেগুলো আমার নার্সারির নয়। আমার নার্সারি থেকে বিক্রির সময় সবসময় ক্যাশ মেমো দেওয়া হয়। অভিযোগকারীদের কাছে যদি আমার চারাই থাকত, তবে অবশ্যই ক্যাশ মেমো দেখাতে পারত।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ফারুক নার্সারিতে উৎপাদিত মরিচ চারা সুস্থ, সবল ও মানসম্মত। উপজেলা মোস্তাইল আরিফুল ইসলাম, শাহানগর গ্ৰামের রায়হানসহ একাধিক কৃষক জানিয়েছেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে এখান থেকে চারা নিয়ে সফলভাবে ফসল উৎপাদন করেছেন।
জানতে চাইলে শাহানগর সবজি নার্সারি মালিক সমিতির সভাপতি আমজাদ হোসেন বলেন, প্রতারণার অভিযোগের কথা আমরা শুনেছি। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।
শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাইফুর রহমান বলেন, কৃষকরা যাতে প্রতারিত না হন, সেজন্য চারা ক্রয়-বিক্রয়ে ক্যাশ মেমো ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পাশাপাশি সব নার্সারিকে নিবন্ধনের আওতায় আনতে কৃষি বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিয়ম না মানলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।