৭ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২২শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
৭ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২২শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১৪ই রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

বগুড়ায় মাসে দেড় কোটি টাকার জুয়া, বন্ধ হবে কবে?

spot_img

মাসুম হোসেন

বছর সাতেক ধরে ডাবু জুয়ার আসর বসে আসছে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায়। সেখানে মাসে প্রায় দেড় কোটি টাকার জুয়া খেলা হয়। সেই টাকার ভাগ পুলিশ কর্মকর্তাসহ পাচ্ছেন ইউপি চেয়ারম্যানও।

অভিযোগ রয়েছে, সোনাতলা উপজেলার জোড়গাছা ইউনিয়নে বাঙ্গালী নদীর চরপাড়া ইলিশামাড়ি ঘাটে নিয়মিত ডাবু জুয়ার আসর বসে। এই জুয়া আয়োজক স্থানীয় বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম ও সামছুল হক। থানা পুলিশের অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) বাবু কুমার সাহা ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানীর পকেটে নিয়মিত যায় জুয়ার ভাগ।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই জুয়ায় নিয়মিত অংশ নেয়া একজন জানান, প্রতিদিন বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জুয়া খেলা হয়। জেলার বাহির থেকেও সেখানে জুয়ারিরা আসেন। দিনে প্রায় ৫ লাখ টাকার জুয়া খেলা হয় চরপাড়ায়। ওসি ও ইউপি চেয়ারম্যানসহ আরও অনেকে জুয়ার ভাগ পান। দীর্ঘ বছরেও বন্ধ হয়নি জুয়ার এই আসর।

অভিযোগ রয়েছে, সোনাতলা থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবু সুফিয়ান জুয়ার আসর থেকে টাকা নেন। পরবর্তীতে নিজের ভাগের টাকা রেখে বাকিটা ওসিকে দেন তিনি।

এ ব্যাপারে পুলিশ কর্মকর্তা মো. আবু সুফিয়ান জানান, চরপাড়ায় যে জুয়া চলে এ বিষয়ে তার কিছু জানা নেই। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী জানান, জুয়ার আসর থেকে তিনি টাকা নেন না। জুয়া বন্ধে আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় অনেকবার কথা বলেছেন। এরপরেও এটা বন্ধ হচ্ছে না। যেখানে জুয়ার আসর বসে ওই স্থান উপজেলার পাকুল্ল্যা ও জোড়গাছা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকা।

জুয়ার এই আসরের এক আয়োজক সামছুল হক বলেন, জুয়া এখন বন্ধ আছে। বন্ধ থাকা অবস্থায় পুলিশ-প্রশাসনের কি আর করার আছে।

তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জুয়া নিয়মিতই চলছে। যেকোনো ধরণের সমস্যা এড়াতে জুয়া বন্ধ আছে বলে জানান জুয়ার ওই আসরের সংশ্লিষ্টরা। এটা তাদের কৌশল।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সোনাতলা থানা পুলিশের ওসি বাবু কুমার সাহার সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাবরিনা শারমিন বলেন, জুয়া বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জুয়া ও ওসির মাসোয়ারা নেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত ও বগুড়ায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের (অপরাধ) দায়িত্বে থাকা মো. আব্দুর রশিদ বলেন, এ বিষয়ে আমাদের কিছু জানা ছিল না। খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সর্বাধিক জনপ্রিয়

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- বিজ্ঞাপন -spot_img

সর্বশেষ