
নিত্যপণ্যের বাজারে বৃষ্টি ও কোটাবিরোধী ‘বাংলা ব্লকেড’ অজুহাত দেখানো হচ্ছে।
সরবরাহ ঠিক থাকলেও বাড়ানো হয়েছে ডাল, আলু ও ডিমের দাম। পরিস্থিতি এমন- এক কেজি আলু কিনতে ক্রেতার ৬৫-৭০ টাকা খরচ করতে হচ্ছে। ডালের কেজি ১৪০ টাকা এবং প্রতি ডজন ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৫৫ টাকা। ফলে গরিবের খাবারের তালিকায় এখন ডাল-আলুভর্তা ও ডিমের জোগান দেওয়া যেন কঠিন হয়ে পড়েছে।
পাশাপাশি খুচরা বাজারে ৬০ টাকার নিচে মিলছে না সবজি। পেঁয়াজ কিনতেও গুনতে হচ্ছে সর্বোচ্চ ১২৫ টাকা। ফলে পণ্য কিনতে এসে নাজেহাল হচ্ছেন ভোক্তা।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) বলছে, খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আলু বছরের ব্যবধানে ৪২.৩৫ শতাংশ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে প্রতি ডজন ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৫৫ টাকা। প্রতি কেজি মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ১৩৫ টাকা।
গত সপ্তাহে পেঁপে বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ৫০ টাকা দরে। যা এ সপ্তাহে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে প্রতি কেজি লতি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা। যা সপ্তাহ আগে ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি করলার দাম ৬০-৮০ টাকা থেকে বেড়ে ১০০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বরবটির কেজি ৬০-৭০ টাকা থেকে বেড়ে ১০০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০-২৫০ টাকা। যা আগে ১৬০-১৮০ টাকা ছিল। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২৫ টাকা। যা এক সপ্তাহ আগেও ৯৫-১১০ টাকা ছিল। আর এক মাস আগে মূল্য ছিল ৭৫-৮০ টাকা। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা কেজি। যা ৭ দিন আগেও ২১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি আমদানি করা আদা বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৩১০ টাকা। যা আগে ২৯০-৩০০ টাকা ছিল।
এদিকে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। যা ৭ দিন আগেও ১৭০ টাকা ছিল। দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৬৫০-৭০০ টাকা। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৬০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি রুই মাছ ৩৫০-৪৫০ টাকায়, মৃগেল ২৫০-৩৫০, পাঙাশ ১৯০-২২০, চিংড়ি প্রতি কেজি ৭০০-১০০০ টাকায়, বোয়াল মাছ প্রতি কেজি ৮০০-১২০০ টাকা, কাতল ৩০০-৪০০, পাবদা ৪০০-৫০০ টাকায় এবং তেলাপিয়া ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।