
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদুর রহমান জানান, জুমার নামাজের পর গোয়ালন্দ পৌরসভার জুড়ান মোল্লাপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। তৌহিদি জনতা পূর্বপরিকল্পিতভাবে দরবার ও নুরুল হকের বাড়িতে হামলা চালায়। এই সময় ইউএনওর গাড়ি এবং পুলিশের দুটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পরে সেনাবাহিনী ও র্যাব মোতায়েনের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
ঘটনার সূত্রপাত নুরুল হকের কবর নিয়ে। সম্প্রতি ঢাকার একটি হাসপাতালে মৃত্যুর পর তাকে গোয়ালন্দ দরবারে মাটি থেকে উঁচু স্থানে কাবা শরিফের আদলে দাফন করা হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে কয়েক দিন ধরেই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল। প্রশাসন শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য পরিবার ও স্থানীয় পক্ষকে আলোচনায় অংশ নিতে জানিয়েছিলেন।
তৌহিদি জনতার দাবি, নুরুল হক নিজেকে ‘ইমাম মাহাদী’ ও ‘খোদা’ দাবি করতেন, যা তারা শরিয়তবিরোধী মনে করেন। নুরুল হকের ছেলে মেহেদী নূর জিলানী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বাবাকে শরিয়তের আলোকে দাফন করা হয়েছিল।
রাজবাড়ী পুলিশ সুপার কামরুল ইসলাম জানান, জুমার নামাজের পর তৌহিদি জনতার একটি অংশ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় এবং পরবর্তীতে দরবার ও বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।